ঢাকা
১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ভোর ৫:৩৬
logo
প্রকাশিত : জানুয়ারি ২৬, ২০২৫

বিএনপির সঙ্গে সরকার-ছাত্রদের দূরত্ব যেসব কারণে

আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ছয় মাস পার না হতেই নির্বাচনসহ কয়েকটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিশেষ করে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা রাখা ছাত্রদের সঙ্গে এ সময়ের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির দূরত্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে থাকা তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নির্বাচন ও নির্বাচন পরিচালনাকারী সরকার নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্যের বিষয়টিই প্রকাশ পেয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু নির্বাচন বিষয়ক ইস্যুই নয়, বরং রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেয়া ও 'জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র' প্রকাশের উদ্যোগকে যেভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছে বিএনপি তা উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থার সংকট ও দূরত্বের মাত্রা বাড়িয়েছে।

দুটো উদ্যোগই আন্দোলনকারী ছাত্রদের দিক থেকে এসেছিল।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর আগে জুলাই-অগাস্টের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে মন্তব্য করেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, "আমরা তো চাই আর্লি ইলেকশন। আগেও বলেছি আমরা।

যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার, যেটা ন্যূনতম সংস্কার, সেগুলো করে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা"।
অন্যদিকে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন "বিএনপি কেন যেন মনে করে সরকারটা হয়েছে কেবল একটা নির্বাচন দেওয়ার জন্য। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটা সরকার আছে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য, যে সময়ে তারা বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন করবে"।

নাহিদ একই সঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে রয়েছেন।

তিনি বলেছেন 'বিএনপি কিছু অপ্রয়োজনীয় দূরত্ব সরকার বা ছাত্রদের সঙ্গে তৈরি করেছে'। তবে এটার প্রয়োজন ছিল না বলেই তিনি মনে করেন।

যদিও মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, যে শুরু থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক ছিল এখনো তেমনটিই আছে। মির্জা ফখরুল বিভিন্ন বিষয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন তাতে নাহিদ ইসলাম ছাড়াও পাল্টা মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

আবার বিএনপির দিক থেকে মির্জা ফখরুলের মন্তব্যকে সমর্থন করে কথা বলেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলছেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে যে মতপার্থক্যের শুরু হয়েছিল বিএনপি ও সরকারের মধ্যে, সেটিই আরও প্রকট হয়েছে রাষ্ট্রপতি পরিবর্তন ও জুলাই ঘোষণাপত্র ইস্যুতে এসে।

তার মতে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে এটি পরিষ্কার যে, তারা মনে করছেন বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে না দেওয়া বা বিলম্ব করানোর একটা চেষ্টা সরকারের ঘনিষ্ঠ কোনো কোনো মহল করছে বলে তারা মনে করেন। এ কারণেই উভয়পক্ষের মধ্যে এখন মতপার্থক্য ক্রমাগত বাড়ছে বলে তার ধারণা।

আরেকজন বিশ্লেষক অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলছেন, নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে পরস্পরের ওপর যে আস্থার সংকট সেটাই উভয়পক্ষের মধ্যে দূরত্বের মূল ভিত্তি। আমার মনে হয় ছাত্ররা কতদূর যেতে চায় সেটা নিয়ে বিএনপিতে উদ্বেগ আছে, আবার ছাত্রদের মধ্যে উদ্বেগ আছে যে বিএনপি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসলেও এখনকার সংস্কার কর্মসূচি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবে কি না।

গত বছরের ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিএনপি দ্রুততম সময়ের নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দাবি করে আসছিল। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার প্রথম দুটি ভাষণে তা না থাকায় আক্ষেপও প্রকাশ করেছিল দলটি।

পরে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় হিসেবে উল্লেখ করলেও তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি বিএনপি। বরং জামায়াতসহ কিছু দল ও সংগঠন নির্বাচনের আগে সংস্কারের বিষয়ে গুরুত্ব দিলে তাতের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিএনপি এবং এই ইস্যুতেই জামায়াতের সাথে দৃশ্যমান বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে দলটি।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা যতগুলো সংস্কারের মধ্যে হাত দিয়েছেন, অতগুলো সংস্কার করতে গেলে দশ বছরের মধ্যেও শেষ হবে না। আর সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। দু'বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। তার মধ্যে এই বিষয়গুলো তো রয়েছে।

নির্বাচনের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, "বিএনপি কেন যেন মনে করে সরকারটা হয়েছে কেবল একটা নির্বাচন দেওয়ার জন্য। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটা সরকার আছে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য- যে সময়ে তারা বিচার সংস্কার ও নির্বাচন করবে। আমরা ছাত্ররা এসেছি ওয়াচডগের জন্য। কেবল নির্বাচনের জন্য আসিনি। বিচার একটা পর্যায়ে যেতে হবে।"

আবার অন্যদিকে গত অক্টোবরে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী তার লেখা এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি তাকে বলেছেন 'শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার হাতে নেই'।

এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাদের ঘনিষ্ঠ জাতীয় নাগরিক কমিটি রাষ্ট্রপতি পরিবর্তনে তীব্র চাপ সৃষ্টি করলেও 'সাংবিধানিক সংকট' হবে উল্লেখ করে বিএনপি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতিকে আর পরিবর্তন করা যায়নি।

ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলছেন, "আমরা পছন্দের কাউকে রাষ্ট্রপতি করতে চাইনি। আমরা চেয়েছি এই রাষ্ট্রপতি সরে যাক। আমরা বলেছিলাম প্রয়োজনে সবাই মিলে একজনকে ঠিক করি। আমরা তো পছন্দের কাউকে রাষ্ট্রপতি করতে চাইনি"।

তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, "আপত্তির কারণ খুব সঙ্গত কারণ। আমরা তো একটা সংবিধানের অধীনে আছি। রাষ্ট্রের যে সংবিধান, সেই সংবিধানের অধীনে আমরা আছি। এই সরকারও শপথ নিয়েছে সেই সংবিধানের অধীনে। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে যে অপসারণ করবে, সেটা কে করবে? এটা এক।''

''দুই নম্বর হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি আনবেন কাকে? তিন নম্বর হচ্ছে, এটার লেজিটেমেসি কার হাতে থাকবে? পার্লামেন্ট নাই। সুতরাং ওই প্রশ্নটাকে আমরা মনে করি যে, অবাস্তব প্রশ্ন।"

অন্যদিকে জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলছেন ছাত্ররাই একাই তো এটা দিতে চেয়েছিল কিন্তু সেখানে বিএনপি বাধা হয়ে দাঁড়ালো। বিএনপি মহাসচিব হন্তদন্ত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গেলেন, বললেন এভাবে ছাত্ররা করলে অনৈক্য তৈরি হবে।

"ছাত্ররাও ভাবলো সবাই মিলেই করি। আলোচনার টেবিলে দিল। এখন পর্যন্ত সমাধান হলো না। তারা আগ্রহী না এটা আগেই বলতে পারতো। কিন্তু তারা শঠতা ও প্রতারণা করে এটাকে বাধাগ্রস্ত করল," বলেন নাহিদ ইসলাম।

তবে এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন 'এটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করা হয়নি আগে, আমরা জানিও না এটা। আর (অভ্যুত্থানের) পাঁচ মাস পরে এই ডিক্লারেশনের কোনো যুক্তি আছে কি না?'

তিনি বলেন, "এটা একটা অভ্যুত্থান, একটা আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ডিক্লারেশন তখনই হওয়া উচিৎ ছিল। এটা ছাত্ররা তারা দিতেই পারে। কিন্তু আমরা ওটার পার্ট তখনই হবো, যখন গোটা জাতির প্রশ্নটা আসবে তার মধ্যে, টোটাল জিনিসটা। কোনো আলোচনা না করেই তো আমরা এটা করতে পারি না। প্রশ্নই উঠতে পারে না।"

এছাড়াও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও বিএনপির সাথে ছাত্রদের মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন 'যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে রাজনীতি করে, তাদেরকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটাতে আমরা কখনোই একমত হইনি। এটা আমরা বলেছি যে, জনগণ ডিসাইড করবে যে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে-কি হবে না।'

নাহিদ ইসলাম বলছেন, এ বিষয়ে সবার অবস্থান আরও পরিষ্কার করা দরকার। নিরপেক্ষ সরকারের নামে আওয়ামী লীগকে আশ্রয় দেওয়ার ষড়যন্ত্র হলে মানব না। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন ও নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যবস্থা করানোর দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। আশা করি কেউ এ ষড়যন্ত্রে পা দিবে না।

ওদিকে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করলে সরকার থেকে বেরিয়ে এসে সেটা করা উচিত,তার জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেছেন— সরকারে থেকে কেউ নির্বাচনে অংশ নিবে না। কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সরকার ছেড়ে দিবে। দল গঠনে প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চাইলে সরকার ছেড়ে দিব।

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, উদ্দেশ্য করে না বলেও বিএনপির কথার টোন আওয়ামী লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মির্জা ফখরুল বলেছেন, তিনি মনে করেন সরকার থেকে বেরিয়ে ছাত্রদের দল গঠন করা উচিত। অর্থাৎ সরকারের কোনো সাহায্য না নিয়ে তারা যদি দল গঠন করতে চায়, সেটা তাদের জন্যই ভালো হবে।

নাহিদ ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছেন, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিএনপি পন্থী লোকজন আছে তাদের রেখে নির্বাচন সুষ্ঠও নিরপেক্ষ সম্ভব কি-না। রাষ্ট্রপতি পরিবর্তন, জুলাই প্রক্লেমেশন—এগুলো কিন্তু ছাত্রদের দলীয় দাবি ছিল না। এটা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। সেটার ভিত্তিতে ছাত্রদের পক্ষ থেকে দাবি এসেছে। একটা ভয় কেন যেন বিএনপির মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। এটা অমূলক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলছেন রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ইস্যুতে বিএনপির শক্ত অবস্থান নেয়াটাই আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে তাদের মতপার্থক্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিল। সাংবিধানিক সংকটের আশঙ্কার কথা বলে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এবং প্রয়োজনীয়তার প্রশ্ন তুলে জুলাই ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে বিএনপির শক্ত অবস্থান ছিলো আন্দোলনকারী ছাত্রদের অবস্থানের বিরুদ্ধে একটা ধাক্কা। এছাড়া বিএনপি মাঝে মধ্যেই মাইনাস টু ফর্মুলার কথাও তুলে ধরছে। এসব ইস্যুতে শুধু সরকার বা আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে নয় বরং জামায়াতসহ ইসলামপন্থী দলগুলোর সাথেও বিএনপির ঠাণ্ডা লড়াই স্পষ্ট হয়েছে।

তার মতে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসতে পারবে কি না তা জনগণের ওপর যেভাবে বিএনপি ছেড়ে দিতে চাইছে সেটি আন্দোলনকারী ছাত্ররা মেনে নিতে পারছে না, যা তাদের মধ্যকার বিরোধকে আরও চাঙ্গা করে তুলতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, আন্দোলনকারী ছাত্ররা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে যেভাবে সিদ্ধান্ত দিয়ে দিচ্ছেন তা বিএনপি ভালোভাবে নিচ্ছে না। আবার সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠরা যেভাবে চব্বিশের আন্দোলনকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে সেটাও বিএনপির জন্য অস্বস্তির। এ কারণেই ৭১ ইস্যুতে জোরালো অবস্থান নিয়েছে বিএনপি।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram