সেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ খোকনের বিরুদ্ধে দক্ষিনখান থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় খোকনসহ চার জনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগি যুবদল কর্মী এনামুল হাসান শ্যামলের ভাই ইলিয়াস হোসেন বাদী হয়ে গত শুক্রবার দক্ষিনখান থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে চালাবনের চৈতি গার্মেন্টস এলাকায় ব্যবসায়ী ও যুবদল কর্মী এনামুল হাসান শ্যামলকে ডেকে নিয়ে এস এ খোকনের নেতৃত্বে মারধর ও চাকু দিয়ে জখম করে কিশোরগ্যাং সদস্যরা। গুরুতর আহত শ্যামল বর্তমানে কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পাজরের হার ভেঙ্গে যাওয়া সহ নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামী খোকনের ফোন পেয়ে তার অফিসের দিকে যাওয়ার পথে প্রথমে মারধর করা হয়। পরে শ্যামলকে খোকনের অফিসে নিয়ে গিয়ে আবারো মারধর করা হয়। অবস্থা খারাব হলে শ্যামলকে সেখান থেকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় বিএনপি নেতা ও এলাকাবাসী জানান ৫ ই আগস্টের পর থেকে এলাকায় কিশোরগ্যাং এর সক্রিয় সদস্যরা ফরহাদের নেতৃত্বে সেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ খোকনের শেল্টারে চলে যায়।
এর আগে এসব সদস্যরা আওয়ামীলীগ দলীয় স্থানীয় কাউন্সিলর ও উত্তরার হত্যা মামলার আসামী নাইমসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের হয়ে দখল ও চাদাবাজি করতো। এখন খোকনের ছায়াতলে এসে তারাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী জানান আধিপত্য বাড়াতে গত তিন চার মাসে প্রায় ২০ টির বেশী মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে খোকন বাহিনী।