জনপ্রশাসনে সচিব পদে রদবদল করা হয়েছে। একই তারিখে ওএসডি আবার ওই তারিখেই সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতির ঘটনাও আছে। গত ২৫ মার্চ জনপ্রশাসনের এক প্রজ্ঞাপনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। একই দিনে ওই মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে বদলি করা হয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামকে। আবার ওই দিনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদুর রহমান খানকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতিও দেওয়া হয়। পরে ২৭ মার্চের প্রজ্ঞাপনে ৩১ মার্চ থেকে তার অবসরে যাওয়ার কথা জানানো হয়।
এ দিকে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিনকে আইএমইডি সচিব করা হয়েছে। গতকালের আরেক প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজামউদ্দিনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান প্রশাসনে রেকর্ডসংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে রয়েছেন। জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন প্রশাসনে মোট ৫১৭ জন ওএসডি রয়েছেন, এর মধ্যে ১৩ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কর্মকর্তাদের ওএসডি ব্যবস্থাকে বাতিলের সুপারিশ করেছে। তারা বলেছে, ‘পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট, ২০১৮’ অনুযায়ী, ২৫ বছর চাকরি শেষে কোনো কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর যে বিধান রয়েছে, তা বাতিল করা উচিত। তারা পরামর্শ দিয়েছে, কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি অবস্থায় রেখে বেতন-ভাতা না দিয়ে, তাদের একটি কার্যকর কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে অন্য কাজে নিযুক্ত করা উচিত।
বিগত সরকারের দলীয়করণের প্রবণতা এবং নিয়মবহির্ভূত পদায়ন-পদোন্নতির কারণে প্রশাসনে বদলি-পদোন্নতি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত বছর ৫ আগস্টের পর ১২৩ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, কিছু কর্মকর্তাকে পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, ছুটি কিংবা প্রেষণের কারণে ওএসডিতে রাখা হয়েছে। তবে অন্যদিকে, অনেক কর্মকর্তাকেই দীর্ঘদিন ধরে ওএসডি অবস্থায় বসিয়ে রাখতে হচ্ছে, যা সরকারের জন্য আর্থিকভাবে ক্ষতিকর।