

‘দ্য আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ স্বীকৃতি বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দৃঢ়তা ও উদ্ভাবনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরেছে বলে জানিয়েছেন সামাজিক সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান।
রোববার রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত ‘দ্য আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ অর্জন উপলক্ষে ‘গণমাধ্যমের সাথে অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য অনেক ক্ষেত্রে সফল হচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ। এই সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম পরিবেশ পুরষ্কার ‘দ্য আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ বিজয়ী হয়েছে সংস্থাটি।
রুনা খান বলেন, দ্য আর্থশট প্রাইজ প্রাপ্তি আমাদের জন্য এক বিরাট সম্মান। এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দৃঢ়তা ও উদ্ভাবনকে তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
তিনি বলেন, এ অর্জন সবার। বিশেষ করে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠী এবং যাদেরকে নিয়ে আমরা কাজ করি, এ পুরস্কার সে অঙ্গীকার ও দায়িত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আগামীতে আরও বিস্তৃতভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
‘দ্য আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ পুরস্কার জয়ের ফলে আগামী এক বছর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ফ্রেন্ডশিপের কর্মসূচি আরও বেশি প্রসার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রেন্ডশিপের আছে চার অঙ্গীকার; জীবন রক্ষায় প্রচেষ্টা, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু অভিযোজন এবং সক্ষমতাবৃদ্ধি। এসব অঙ্গীকারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জলবায়ু অভিযোজন, সুশাসন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণের মত ছয়টি কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ।
‘গণমাধ্যমের সাথে অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়‘ অনুষ্ঠানে যোগ দেন, ফ্রেন্ডশিপ এর বাংলাদেশ বোর্ড চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং সংস্থার জেষ্ঠ্য পরিচালকরা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে, ৫ অক্টোবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক আর্থশট ফাউন্ডেশন ২০২৫ সালের ফাইনালিস্টদের তালিকায় ফ্রেন্ডশিপকে মনোনীত করে। সে ধারাবাহিকতায় গেল ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’-এর ফিক্স আওয়ার ক্লাইমেট ক্যাটাগরিতে, ফ্রেন্ডশিপকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে আয়োজিত এক জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডশিপ এর প্রতিষ্ঠাতা রুনা খানের হাতে তুলে দেয়া হয় এ পুরস্কার।

