মমিনুর রহমান: সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলীর বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়াবহ দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের গুরুতর অভিযোগ। সরিষাবাড়ি, জামালপুর থেকে উঠে আসা এই প্রকৌশলী আজ রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট, গাড়ি, প্লট আর কোটি টাকার ক্যাশ ইনভেস্টমেন্টের গোপন সম্রাট।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শওকত তার ভাই যুবায়েরের নামে গড়ে তুলেছেন বেনামি সম্পদের সিন্ডিকেট। আরেকদিকে চলছে 'সুপারিশ বাণিজ্য'– সরকারি পোস্টিং, মিডিয়া চাকরি কিংবা ঠিকাদারি কাজ পেতে হলে দরকার হয় তার "তদবির"। বিনিময়ে গোপনে হাতবদল হয় লাখ লাখ টাকা।
তার প্রভাবশালী পরিচয়ের আড়ালে চলছে বিলাসী জীবন—মদ্যপান, নারীসঙ্গ, বিদেশ ভ্রমণ এবং মিডিয়া ম্যানিপুলেশন। স্থানীয়দের ভাষ্য, জামালপুরে নির্মাণাধীন তার প্রাসাদ দেখে কেউই বিশ্বাস করতে পারে না—এটা একজন সরকারি প্রকৌশলীর আয়ের ফসল।
জানা গেছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ির পৈতৃক বাড়িতে নতুন করে নির্মাণাধীন বিলাসবহুল স্থাপনাটিও এই কালো অর্থের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রামের মানুষজন তার সেই বিল্ডিং দেখেই বলেন, “সওজে আলাদিনের আশ্চর্য জাদুর প্রদীপ পেয়েছে শওকত আলী!”
তাঁর নিজের ও বেনামী একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিদেশে পাচার হওয়া কালো টাকা, সহকর্মীদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত মানি লন্ডারিংয়ের সুগন্ধ—সবকিছু মিলিয়ে স্পষ্ট হয়, সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী একা নন। বরং একটি সংঘবদ্ধ দুর্নীতির চক্র, যারা ক্ষমতার মদদে, রাজনৈতিক পরিচয়ের ঢাল নিয়ে, পুরো সওজকে পরিণত করেছে এক নীরব দখলযুদ্ধে।
এ যেন শকুনের থাবায় সওজের ভবিষ্যৎ। এখানেই শেষ নয়, চলবে……..