ঢাকা
১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ২:৩২
logo
প্রকাশিত : মে ১৮, ২০২৫

দেশব্যাপী টিকা কার্ডের সংকট, ভোগান্তি চরমে

বাচ্চার জন্মের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) টিকা দিতে হয়। মাস খানেক আগেও হাসপাতাল বা টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে ফিরে এসেছেন অনেকেই। এখন টিকার সংকট কিছুটা কাটলেও কার্ড পাচ্ছেন না লোকজন। টিকা কার্ড না পাওয়ায় সন্তানের জন্মনিবন্ধন সনদ করাতে পারছেন না অভিভাবকরা।

বেশিরভাগ এলাকায় সাদা কাগজে হাতে লিখে টিকা দেওয়ার তথ্য সংরক্ষণ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোথাও অনলাইন থেকে প্রিন্ট করে কাগজ দেওয়া হচ্ছে। যদিও এগুলো অফিসিয়াল কাজে গ্রহণযোগ্য নয়।

কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বছর থেকেই টিকা কার্ডের সরবরাহ বন্ধ। গত বছর টেন্ডার হয়নি, টিকা কার্ড ছাপানোও যায়নি। এবার সে সমস্যার সমাধান তারা করেছেন। দুই মাসের মধ্যে ছাপা হয়ে যাবে।

টিকা কার্ড পাননি এমন ভুক্তভোগীদের একজন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘গত জানুয়ারি মাসে আমার একটি ছেলে সন্তান জন্ম লাভ করে। জন্মের ৪৫ দিনের মাথায় স্থানীয় মা ও শিশু কেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে কোনো টিকা কার্ড দেয়নি। তাদের জিজ্ঞেস করা হলে জানায়, কার্ড শেষ হয়ে গেছে অনেক দিন আগে। কিন্তু সরকার থেকে এখনো তাদের কাছে কার্ড সরবরাহ করা হয়নি। তৃতীয় দফায় টিকা দেওয়া হলেও কার্ড এখনো দেয়নি। টিকা কার্ড না দেওয়ার কারণে জন্মনিবন্ধন সনদ করতে পারছি না।’

একই এলাকার আবু সাঈদও এ ঘটনার ভুক্তভোগী। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা অনলাইন পেপার দিয়েছে। সেটা দিয়ে আপাতত টিকা দিচ্ছি। কিন্তু কার্ড দেয়নি। এ কারণে ভবিষ্যতে তো আমরা বিপাকে পড়বো। জন্মনিবন্ধন সনদ করা যাবে না। এ সংক্রান্ত অন্যান্য সেবা থেকেও বঞ্চিত হবো।’

একই চিত্র বরগুনা জেলায়। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে কয়েক সপ্তাহে ঘুরে শিশু আসফিয়া তাইয়েবার টিকা দেওয়া গেলেও কার্ড পাননি তার মা শাহিমা আকতার।

শাহিমা আকতার বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে গিয়ে যথাসময়ে টিকা দিতে পারছি না। এক সপ্তাহেরটা আরেক সপ্তাহে দিতে হচ্ছে। আর টিকা কার্ড তো নাই। দিবে কোত্থেকে? চার মাস হয়ে গেলেও টিকা কার্ড পাইনি। যার কারণে জন্মনিবন্ধন সনদের আবেদনও করতে পারছি না।’

টিকা কার্ডের সংকট রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়ও। জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী নীহার রঞ্জন আচার্য্য বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই টিকা কার্ডের সংকট। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেই।’

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘এই সংকট হুট করে হয়নি। গত বছর আমাদের টেন্ডার হয়নি। সাপ্লাই দেয়নি। আমরা বিলও দেইনি। বছর শেষ হয়ে গেছে, আমরা কী করবো? এবার প্রিন্টিংয়ে যাচ্ছে। দু-এক মাস লাগবে হয়তো। এরপর সব জায়গায় পৌঁছে দেবো।’

ইপিআই কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সময় (প্রাপ্যতা অনুযায়ী) যক্ষ্মা, ডিফথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস বি, হিমো-ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, হাম ও রুবেলা এই ৯টি রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ করা হয়। টিকা প্রদানের পর নতুনদের পরবর্তী টিকাদানের তারিখ উল্লেখ করে কার্ড দেওয়া হয়। এছাড়া পুরাতনদের কার্ডে পরবর্তী টিকাদানের তারিখ উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের পাঁচ ডোজ টিটি টিকা দেওয়া হয়।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram