ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা-কুয়াকাটা সড়কটি ২ লেনের ও আঁকাবাকা হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। ঢাকা-ভাঙ্গা সড়কটি এ্যালিভেটেড হওয়ায় স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করা গেলেও এরপর থেকে যানবাহনের গতি কমিয়ে চলাচল করতে হয়। উপরন্তু বিপরীতমুখী যানবাহনকে সাইড দিতে গিয়ে উভয়পাশের যানবাহনকেই হুমকির মুখে পড়তে হয়।
বিষয়টি নিয়ে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতির নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ব্যাপক ও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় সমিতির সদস্যরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তুলনায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবহেলিত। এটিকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করে বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতি।
পরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সমিতির সভাপতি জহিরুল হক রানা ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ভাঙ্গা-কুয়াকাটা মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীতকরণে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেকে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে এটি স্থগিত আছে বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় দ্রুত সরকারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলে রেলসংযোগ স্থাপনের পথ সুগম হয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান বিবৃতিদাতারা।
কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি পায়রা বন্দর ও বিদুৎ কেন্দ্রকে আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছে বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতি। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।