ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নকশা ও নীতিবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করায়, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধের পাশাপাশি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মালিকরা।
গেলো বছর রাজধানীর বেইলী রোডে রেস্তোরার আগুনে প্রাণ যায় অর্ধশত জনের। নড়েচড়ে বসে সরকার। চালানো হয় বেশ কিছু অভিযান। তদন্ত কমিটি আর সরকারি কর্মকর্তাদের হম্বিতম্বিও চোখে পড়ে। তারপর সবকিছু সেই আগের মতই।
আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু না করার বিধান থাকলেও সিটি করপোরেশন নিজেই এমন রেস্তোরাঁকে দিয়েছে লাইসেন্স। মিরপুর ধানমন্ডিসহ পুরো রাজধানীতে নকশা বহির্ভূত রেঁস্তোরা রয়েছে অনেক।
সোমবার নকশাবহির্ভুত রেস্তোরাঁয় ইস্যুকৃত সেসব লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ডিএসসিসির কাছে প্রশ্ন ছিলো- লাইসেন্স দেয়ার সময় নিয়ম ভেঙ্গে কেন দেয়া হলো অনুমতি। তবে কি অনৈতিক সুবিধা পেয়েছে করপোরেশনের কর্মকর্তারাও?
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক মো: শাহজাহান মিয়া বলেন, প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে এই লাইসেন্সগুলো দেয়া হয়নি। কিছু অসৎ কর্মচারীকে ভুল বুঝিয়ে এগুলো নেয়া হয়েছে। মূলত, এই কারণেই লাইসেন্সগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশন বলছে রেঁস্তোরা বন্ধ করতে মালিকদের কোনো সময় দেয়ার সুযোগ নেই। যে কোনো সময় অভিযানে নামবে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক মো: শাহজাহান মিয়া আরও বলেন, লাইসেন্স বাতিলের পর রেস্তোরাঁগুলো নিজস্ব উদ্যোগে এগুলো সরিয়ে নেবে। যারা পূর্বে দায়িত্বে ছিলেন, তারা যদি যথাযথভাবে বিষয়গুলো মনিটর করতেন, তাহলে এই সংখ্যা এতো বড় হতো না।
এমন সিদ্ধান্তে রেঁস্তোরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমী উদ্যোগে প্রায় বিপাকে পড়তে হয় রেঁস্তোরা ব্যবসায়ীদের। ভয় না দেখিয়ে স্থায়ী সমাধান চান তারা।
ভোজন রশিক বাঙালির খাবার বিনোদন নিরাপদ রাখতে কথায় নয় কাজে প্রমান দেয়ার আহবান রাজধানীবাসীর।