পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমন ঘোষণার পর এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাকে ৪-৫ বার নোবেল দেওয়া উচিত।’
‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দেওয়ার’ কৃতিত্ব হিসেবে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম সুপারিশ করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যেই অসাধারণ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প।
কৌশলে তিনি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা করিয়েছেন। পরিস্থিতির খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে বৃহত্তর সংঘাত এড়ানো গিয়েছে।
লাখ লাখ মানুষের বিপর্যয় আটকানো গিয়েছে।’ এর জন্যই ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ট্রাম্পের পাওয়া উচিত বলে মনে করে ইসলামাবাদ।
তবে এমন ঘোষণার আগে ট্রাম্প নিজেও বহুবার নোবেলের দাবি করেছেন। শুক্রবারও তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রসঙ্গে নোবেল কমিটির উদ্দেশে বলেন, ‘ওদের রুয়ান্ডার জন্য আমাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া উচিত।
আপনি যদি কঙ্গোর দিকে দেখেন কিংবা সার্বিয়া, কসোভো (শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমার অবদানের বিষয়ে) অনেক কিছু বলার মতো আছে।’
একই সঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘সবচেয়ে বড় (শান্তি প্রতিষ্ঠার) কাজটা হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের ক্ষেত্রে। আমাকে এটা (নোবেল শান্তি পুরস্কার) চার-পাঁচবার দেওয়া উচিত।’
তবে এই প্রসঙ্গে নিজের হতাশার কথাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ওরা (নোবেল কমিটি) আমাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না।
কারণ এটা কেবল উদারপন্থীদের (লিবারেল) দেওয়া হয়। এর আগে আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল এবং একাধিক আরব রাষ্ট্রের সম্পর্ক ‘সহজ’ করে তোলার জন্য সম্ভাব্য নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপক হিসেবে ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছিলেন তার সমর্থকরা।