কাস্টমসের টানা ১২ দিনের কলম ও কর্মবিরতির পর চলতি সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের বড় ছুটিতে পড়ছে দেশ। পণ্য খালাস বিলম্বিত হয়ে বহির্নোঙরে বাড়ছে পণ্যবোঝাই জাহাজের সারি। এতে বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজের জরিমানা ও বন্দর অভ্যন্তরে কনটেইনারের স্টোর রেন্টের অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৪ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৩১ দিন সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা মাত্র সাত দিন স্বাভাবিক কর্মদিবস পেয়েছেন। যে সময়ের মধ্যে ব্যাংকিং, কাস্টমস শুল্কায়ন, আমদানি করা কাঁচামাল ও পণ্য খালাস এবং রপ্তানিপণ্য জাহাজীকরণের নানান প্রক্রিয়াগত জটিলতা কাটানো দুঃসাধ্য। এতে বন্দরের ডেমারেজ চার্জের বোঝাসহ বড় অঙ্কের অপারেশনাল ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে বেসরকারিখাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদেরই। ফলে আর্থিক ক্ষতির খড়্গ পড়ছে ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে।
সংকটের শুরু
এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে গত ১২ মে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারির পর কাস্টমসের অস্থিরতা শুরু হয়। এই অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে গত ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত কলম ও কর্মবিরতি পালন করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এতে পুরো রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা। পণ্যের স্বাভাবিক শুল্কায়ন ব্যাহত হয়। এতে বিলম্বিত হয় আমদানিপণ্য খালাস।
দেশে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে। শিল্পের কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্য আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে। আবার তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিপণ্য জাহাজীকরণও হয়। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সঙ্গে বন্দর, কাস্টমস ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দফতরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কোরবানির ঈদের লম্বা ছুটির কারণে বন্দর বাদে অন্য অফিস-আদালত, ব্যাংক টানা ১০ দিনের ছুটিতে পড়ছে।
কাস্টমসে কর্মবিরতির কারণে বন্দরে কনটেইনার জট বাড়ছে। আবার বহির্নোঙরে অনেক জাহাজ অলস বসে রয়েছে। এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বিলম্বিত হচ্ছে। ঈদের লম্বা ছুটিতে এ জট আরও বাড়তে পারে।-আমদানিকারক মাহবুব রানা
বাংলাদেশ নন-প্যাকার্স ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আমদানিকারক মাহবুব রানা বলেন, ‘কাস্টমসে কর্মবিরতির কারণে বন্দরে কনটেইনার জট বাড়ছে। আবার বহির্নোঙরে অনেক জাহাজ অলস বসে রয়েছে। এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বিলম্বিত হচ্ছে। ঈদের লম্বা ছুটিতে এ জট আরও বাড়তে পারে।’
দেশের ভোগ্যপণ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। আমদানিপণ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকবোঝাই পণ্য আসে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে। এখান থেকে চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলায় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ যায়। আবার অনেক শিল্পের কাঁচামালও জোগান দেওয়া হয় খাতুনগঞ্জের বাজার থেকে।
চাক্তাই এলাকার ব্যবসায়ী আবুল বশর। চীন থেকে রসুন ও আদা আমদানি করেন তিনি। কথা হলে বলেন, ‘কয়েকদিন পরই ঈদুল আজহা। কোরবানি সামনে রেখে আমরা রসুন ও আদা আমদানি করি। এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। গত মে মাসের মধ্য সময় থেকে কাস্টমসে কলমবিরতি শুরু হয়। এ কারণে আমাদের মতো অনেক ব্যবসায়ী স্বাভাবিক সময়ে ডকুমেন্ট জমা দিয়েও পণ্য খালাস করাতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘শুধু কাস্টমসে জটিলতার কারণে আমার মতো আমদানিকারকরা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস নিতে পারেনি, কিন্তু বন্দরের ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে। পাশাপাশি এবার বাজারে আদা-রসুনের দাম কমে গেছে। অনেকটা আমদানি মূল্যের চেয়ে কমে রসুন-আদা বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে দুই দিকে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। একেক কনটেইনারে ১০-১২ লাখ টাকা পর্যন্ত লস হচ্ছে। এর দায় কে নেবে?’
শুধু কাস্টমসে জটিলতার কারণে আমার মতো আমদানিকারকরা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস নিতে পারেনি, কিন্তু বন্দরের ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে। পাশাপাশি এবার বাজারে আদা-রসুনের দাম কমে গেছে। অনেকটা আমদানি মূল্যের চেয়ে কমে রসুন-আদা বিক্রি করতে হচ্ছে।- চাক্তাই এলাকার ব্যবসায়ী আবুল বশর
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মীর গ্রুপের কর্ণধার আবদুস সালাম বলেন, ‘সরকারি অফিস-আদালতে ১০ দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটি তিনদিন। কোরবানির দুদিন পরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খুলবে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোও ওইদিন খুলবে। যাদের পণ্য বন্দরে নেই তাদের তেমন সমস্যা হবে না। তবে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক-বন্দরনির্ভর, টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটির কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
কাস্টমসের কর্মবিরতি ও ঈদের লম্বা ছুটির প্রভাব পড়ছে রপ্তানিমুখী পোশাক খাতেও। তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএর সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিজেএমইএতে এখন প্রশাসক রয়েছেন। তিনি পোশাক রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের দুঃখ বোঝেন না। গত ১০ মার্চ থেকে বন্দরে স্টোর রেন্টের ওপর ডেমারেজ বসিয়ে চারগুণ করা হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা সেই ডেমারেজ প্রত্যাহারে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আরজি করেছিলাম। আমরা এখন নতুন করে নির্বাচিত হয়েছি। দায়িত্ব নিয়েই প্রথম কাজ হিসেবে বন্দরের স্টোর রেন্টের ডেমারেজ প্রত্যাহারে আমরা সচিবালয়ে যাবো।’
তিনি বলেন, ‘কাস্টমসে কর্মবিরতির কারণে শুল্কায়ন ও জাহাজীকরণ বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের ঠিকই ডেমারেজ গুনতে হয়েছে।’
বন্দর সূত্রে জানা যায়, আমদানি করা পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে আসার পর চারদিন ফ্রি টাইম থাকে। এসময়ে পণ্য খালাস নিলে কোনো ভাড়া বা স্টোর রেন্ট দিতে হয় না। বন্দরের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী, স্বাভাবিক সময়ে ফ্রি টাইমের পরে প্রথম সাতদিনের মধ্যে খালাস নিতে প্রতিদিন ২০ বর্গফুট একক কনটেইনারের জন্য ৬ ডলার, ৪০ বর্গফুট কনটেইনারের জন্য ১২ ডলার, দ্বিতীয় ১৩ দিনের মধ্যে খালাস নিতে প্রতিদিন ২০ বর্গফুট কনটেইনারের জন্য একক প্রতি ২৪ ডলার, ৪০ বর্গফুট কনটেইনারের জন্য ৪৮ ডলার এবং তৃতীয় ধাপে ২১ দিনের মধ্যে খালাস নিতে প্রতিদিন ২০ বর্গফুট কনটেইনারের ৪৮ ডলার এবং ৪০ বর্গফুট কনটেইনারে ৯৬ ডলার করে ভাড়া দিতে হয়।
গত ১০ মার্চ থেকে বন্দরে স্টোর রেন্টের ওপর ডেমারেজ বসিয়ে চারগুণ করা হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা সেই ডেমারেজ প্রত্যাহারে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আরজি করেছিলাম। আমরা দায়িত্ব নিয়েই প্রথম কাজ হিসেবে বন্দরের স্টোর রেন্টের ডেমারেজ প্রত্যাহারে সচিবালয়ে যাবো।-বিজেএমইএর পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী
গত ১০ মার্চ থেকে এই ভাড়া চারগুণ হারে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে ফ্রি টাইমের পর ২০ বর্গফুট কনটেইনারের জন্য প্রথম সাতদিন দৈনিক ২৪ ডলার, দ্বিতীয় ১৩ দিন দৈনিক ৯৬ ডলার, তৃতীয় ২১ দিন দৈনিক ১৯২ ডলার করে ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। একইভাবে ৪০ বর্গফুট কনটেইনারের ক্ষেত্রে প্রথম সাতদিন দৈনিক ৪৮ ডলার, দ্বিতীয় ১৩ দিন দৈনিক ১৯২ ডলার এবং তৃতীয় ২১ দিন থেকে দৈনিক ৩৮৪ ডলার করে ভাড়া আদায় করছে বন্দর। পাশাপাশি বহির্নোঙরে অলস বসে থাকা জাহাজগুলোর জন্য নির্ধারিত সময়ের পরে জাহাজপ্রতি দৈনিক ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয় আমদানিকারকদের।
কনটেইনার জট
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউ। সবশেষ সোমবার বন্দরে ৩৮ হাজার ৮৭২ টিইইউ কনটেইনার রয়েছে। এর মধ্যে খালি কনটেইনার রয়েছে ৫ হাজার ২৬৬ টিইইউ। বন্দরে আটকে থাকা কনটেইনারগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ।
একই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বহির্নোঙরে বাল্কপণ্য ও কনটেইনারবাহী ১৪১টি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে বন্দর জেটি ও বহির্নোঙরে ৬২ জাহাজে অপারেশন চললেও ৭৯টি জাহাজ অলস বসে রয়েছে। অলস জাহাজের মধ্যে ২০টি কনটেইনারবাহী, ২৫টি জেনারেল কার্গোবাহী, খাদ্যশস্যবাহী আটটি, সারবাহী একটি, সিমেন্ট ক্লিংকারবাহী ১৪টি, ‘র’ সুগারবাহী দুটি এবং বন্দরের টিএসপি ঘাটে সারবাহী আরেকটি জাহাজ বসে রয়েছে। পাশাপাশি এক সপ্তাহ আগে (২৬ মে) বন্দর ও বহির্নোঙরে জাহাজ ছিল ১১১টি। এর মধ্যে ৬৮টি জাহাজ খালাস অবস্থায় থাকলেও ৪৩টি জাহাজ অলস অবস্থায় ছিল।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহ-সভাপতি খায়রুল কবির সুজন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সময় হিসাব করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করেন। কিন্তু গত মাসে কাস্টমস কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেছেন, লরি প্রাইমমুভাররা দফায় দফায় ধর্মঘট করেছে, এগুলো অপ্রত্যাশিত। যখন আমদানির এলসি খোলা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা তখন চিন্তা করেননি এ ধরনের একটি সমস্যা হবে। কিন্তু সবগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের ওপর পড়ছে।’
কোরবানির পরে এবার আরও দুদিন ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে পণ্য খালাসে। নির্ধারিত সময়ে কাঁচামাল খালাস নিতে না পারলে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। রপ্তানিখাতের উৎপাদনও প্রভাবিত হতে পারে।- বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহ-সভাপতি খায়রুল কবির সুজন
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু সিজন আছে, যে সময়গুলোতে কার্গোপণ্য আমদানি বাড়ে। বিশেষ করে রমজান ও কোরবানির ঈদ টার্গেট করে ভোগ্যপণ্য আমদানি বেশি হয়। আবার ঈদ ও কোরবানি বন্ধের পরে শিল্প-কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার জন্য শিল্পমালিকরা কাঁচামালসহ প্রয়োজনীয় অ্যাকসেসরিজ আমদানি করেন। এগুলো সময় পরিকল্পিত। কিন্তু এবার কাস্টমসের কর্মবিরতির কারণে ব্যবসায়ীরা পরিকল্পনামাফিক পণ্য খালাস করাতে পারেননি। অনিচ্ছাকৃত হলেও ক্ষতির ভার নিতে হচ্ছে পণ্য আমদানিকারকদের।’
এবারের ঈদের লম্বা ছুটিতেও ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার কোরবানিতে সরকারি অফিস-আদালত ব্যাংক ১০ দিনের লম্বা ছুটিতে পড়ছে। অথচ শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কোরবানির দুদিন পরে খুলবে। সব সময় বন্ধের পরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস হয় না। কারণ পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে অসংখ্য উইং জড়িত। সরকারি অফিস বন্ধ থাকলে এসব উইং থেকে প্রয়োজনীয় সনদ পাওয়া না গেলে শুল্কায়ন সম্ভব হয় না।’
‘কোরবানির পরে এবার আরও দুদিন ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে পণ্য খালাসে। নির্ধারিত সময়ে কাঁচামাল খালাস নিতে না পারলে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। রপ্তানিখাতের উৎপাদনও প্রভাবিত হতে পারে। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’ জানান তিনি।
তাছাড়া গত কয়েকদিনে টানা বর্ষণের কারণেও বন্দরের পণ্য খালাস ব্যাহত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব সময় বর্ষাকালে পণ্য ডেলিভারিতে বিঘ্ন ঘটে। কারণ বন্দরে কনটেইনার থেকে পণ্য ট্রাক কিংবা কাভার্ডভ্যানে লোড আনলোড করা হয় খোলা জায়গায়। বৃষ্টির কারণে অনেক সময় পণ্য ভিজে ক্ষতি হয়। এতে অনেক সময় পণ্য খালাস বিলম্বিত হয়। ফলে বহির্নোঙরেও অনেক জাহাজকে অলস বসে থাকতে হচ্ছে। এতে জাহাজগুলোতে দৈনিক হারে জরিমানা গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।’