ভারত এবং পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও গত কয়েক দিনে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের পর তুরস্ক খোলাখুলিভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়েছে। আর এ কারণে তুরস্ককে শাস্তি দিতে দাবি উঠেছে ভারতে। তুরস্কের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাল স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। তুরস্কের বিভিন্ন সামগ্রী বয়কটের পাশাপাশি ভারতীয় পর্যটকদের সে দেশে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে মঞ্চের পক্ষ থেকে।
সংঘাতের পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে যে একটি মাত্র দেশ পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে, তা হল তুরস্ক। চার দিনের সংঘাতে ভারতের প্রায় তিন ডজন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে যে ঢেউয়ের মতো ড্রোন উড়ে এসেছিল, তার অধিকাংশই তুরস্কের। তাই পাকিস্তান ও তুরস্কের ‘সখ্য’-কে মাথায় রেখে তুরস্কের উপরে আর্থিক অবরোধ, বিমান যাতায়াত বন্ধের দাবি জানিয়েছে ওই মঞ্চ।
মঞ্চের আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন বলেছেন, চীনের পরেই পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তুরস্ক। যাদের পাঠানো অস্ত্র ও প্রযুক্তি পাক নৌসেনা ও বিমানবাহিনীকে যুদ্ধের উপযোগী করে তুলেছে।
মঞ্চের মতে, তুরস্ক-পাকিস্তানের ওই প্রতিরক্ষা সমঝোতা কেবল বাণিজ্যিক নয়, আদর্শগত। লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতাবস্থা নষ্ট করে পাকিস্তানের সামরিক শক্তিবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত তিনটি অর্থ বছরে গড়ে প্রায় দু’লক্ষ করে ভারতীয় তুরস্কে ঘুরতে গিয়েছেন। তুরস্ককে যাতে ভারতীয় পর্যটকেরা বয়কট করেন, সেই আর্জি দেশবাসীর কাছে রেখেছে ওই মঞ্চ।
ওয়াকবহাল মহলের মতে অবশ্য তুরস্ক থেকে আমদানির তুলনায় ভারতের রপ্তানি বেশি। অর্থনৈতিক অবরোধ বা দু’দেশের মধ্যে সংঘাতের আবহে দেশের ব্যবসায়ীদের ক্ষতিরই শঙ্কা বেশি। তবে এরই মধ্যে রাজস্থানের নানা মার্বেল সংস্থা ও পুণের আপেল ব্যবসায়ীরা তুরস্ক থেকে আমদানি বন্ধ রেখেছেন। বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থা বাতিল করেছে তুরস্ক ভ্রমণ। তুরস্কে ফিল্মের শুটিং না করার অনুরোধ জানিয়েছেন পশ্চিম ভারতের সিনেকর্মীরা।