মুন্সীগঞ্জে গজারিয়ায় কৃষিজমিতে পাওয়া মর্টারশেল নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে কয়েক কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। অন্তত ২৫টি বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। এ সময় গোয়াল ঘরে থাকা বেশ কয়েকটি গরু মারা গেছে। মঙ্গলবার রাত ৮টায় উপজেলার আড়ালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল আলম আজাদ।
স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের সময় সেলিম, হারেস, রশিদ, রফিজ, রেনু মিস্ত্রী, ফরিদ হোসেন, আব্দুল হান্নান, মানিক মিয়া, জলিল, মুক্তার হোসেন, আব্দুল গাফফার, সেলিম মিয়া, বারেকের বাড়িসহ গ্রামটির অর্ধশত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তীব্র শব্দে আশিক নামে এক চাষির তিন গরু মারা গেছে।
এ বিষয়ে ওসি আনোয়ারুল আলম আজাদ বলেন, সোমবার উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের একটি জমিতে স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কাটার সময় একটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল পাওয়া যায়। মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি বোম ডিসপোজাল ইউনিট সকল প্রটোকল মেনে মর্টারশেলটি নিষ্ক্রিয় করে। তবে এ সময় বিস্ফোরণের শব্দে কিছু বসতঘর ও দোকানের ক্ষতি হয়। দু-একটি গরু মারা গেছে ও কয়েকটি গরু শব্দের কারণে অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে।
ওসি আরও বলেন, জননিরাপত্তার জন্য মাইকিং করে সবাইকে অন্যত্র সরে যেতে বলায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্থানীয়রা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ওপর চড়াও হয়। তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করে। পরে ইউএনও, সেনাবাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার গিয়ে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ঠিক কতগুলো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে জেনেছি ২০ থেকে ২৫টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাবাসীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসে শান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল বিকেলে এ বিষয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে যতটা সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।