টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের একাডেমিক ভবনের দোতলার ছাদে ফাটল ধরে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভবনটিতে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে। ২০১০ সালে শেখ মুজিবুর রহমান কলেজটি সরকারি করা হয়। কলেজটি উপজেলার পরীক্ষা কেন্দ্র। কলেজের শিক্ষার্থী প্রায় চার হাজার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একাডেমিক পুরাতন ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ১২টি রুমে ফাটল ধরে পলেস্তারা খসে পড়ছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্লাস চলাকালে অনেক সময় পলেস্তারা থেকে বালি কনা তাদের মাথায় পড়ে। জীবনের উপর ঝুঁকি নিয়ে তাদের ক্লাস করতে হয়। কথা হয় কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইসরাত জাহানের সাথে। ইসরাত জাহান জানায়, কলেজের পুরাতন ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ক্লাসরুম সহ ১২টি কক্ষ রয়েছে। সবগুলো কক্ষই ছাদ ফেটে পলেস্তারা খসে পড়ছে। পলেস্তরা ভেঙ্গে মাথায় পড়বে ভেবে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মন বসে না।
বাংলা বিভাগের ছাত্র আকাশ বলেন, আমরা যখন ক্লাস করি তখন প্রায় ছাদের পলেস্তারা খুলে গায়ের ওপর পড়ে। ক্লাস করার সময় খুব ভয়ে থাকি। কেননা যেদিকে তাকাই ফাটল আর ফাটল। আমরা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই।
উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ত্বন্নী বিশ্বাস বলেন, ক্লাস করতে এসেও নিরাপত্তা নেই। আমরা চাই এ ভবন ভেঙে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হোক। যেখানে আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাব। এক গ্রুপ রেখে অন্য গ্রুপের ক্লাস করতে হবে না।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.সেলিম তালুকদার বলেন, আমি টুঙ্গিপাড়ায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছি, আপনাদের মাধ্যমে কলেজ সম্পর্কে অবগত হয়েছি। আগামী সপ্তাহে কলেজ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তহমিনা আক্তার রোজী বলেন, ২০১০ সালে কলেজটির সরকারিকরণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসের ৩০ তারিখ কলেজের একাডেমিক ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য গোপালগঞ্জে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কলেজের একাডেমিক ভবনটির বেহাল অবস্থার বিষয়টি একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। দ্রুত ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।