হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে পুরো উপজেলা শহর জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা।
বুধবার উপজেলার কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, প্রায় দশ বছর আগে কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকে শহীদ মিনারটি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে দূর্বৃত্তরা শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে। শুধু মাত্র একটি ভাঙ্গা পিলার দাড়িয়ে আছে। আর সেই ভাঙ্গা জরাজীর্ণ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শিক্ষক আজিজুল বারী বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। দ্রুত শহীদ মিনারটি মেরামত করা উচিত। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরাজীর্ণ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি করে জাতির সাথে তামাশা করেছেন। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব বলেন, জরাজীর্ণ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি করে ৩০ লক্ষ শহীদের সাথে মশকরা করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, শহীদ মিনারটি গত ৫ আগস্টের পর ভেঙ্গে দিয়েছেন দূর্বৃত্তরা। বিদ্যালয়ের ফান্ডে টাকা না থাকায় মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তাই সেখানেই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এখন জানলাম, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।