হাতিয়া উপজেলা (নোয়াখালী): 'অপারেশন ডেভিল হান্ট’ তৃতীয় দিনে হাতিয়ায় বিপুল পরিমাণ অস্রসহ দুইজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
গতরাতে হাতিয়া থানা পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে চরকিং ইউনিয়ন থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত হলেন, চরকিং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নুরুল হকের ছেলে নবীর উদ্দিন (৫০), একই ওয়ার্ডের আব্দুল মতিনের ছেলে ইমাম হোসেন(৫০)। এসময় তাদের থেকে ০১টি বিদেশী পিস্তল(ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলিসহ), ০৩টি একনলা দেশীয় বন্দুক,০৮টি কার্তুজ, ২০টি কক্টেল,০২টি ডেগার,০৩টি কিরিজ ও একটি তলোয়ার উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার(১১ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টায় হাতিয়া থানার সামনে প্রেস কনফারেন্স করেন নৌ- কন্টিনজেন্ট হাতিয়া কমান্ডার।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতরাতে যৌথবাহিনীর একটি চৌকসদল নৌ- কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের নেতৃত্বে চরকিং ইউনিয়নের কলেজরোড কাউছার মিয়ার ব্রিকফিল্ডের সামনে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে কক্টেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে যৌথবাহিনী ২৪রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে স্ত্রাসীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে ধাওয়া খেয়ে ১০ থেকে ১৫জন সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে দু'জন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে যৌথবাহিনী আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে'ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় যৌথবাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আজমল হুদা। এর আগে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১১জন আটক হয়েছে।