চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১৯৮৯ সাল থেকে চলে আসা ভাসমান তেল ডিপো (যমুনা ও মেঘনা) কে স্থায়ীকরণ ও আগামী ইরি মৌসুমের শুরুতে জ্বালানি তেল সরবরাহের দাবি নিয়ে রংপুর বিভাগ ট্যাংলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে কৃষক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চত্বরে রংপুর বিভাগ ট্যাংলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে মাটিকাটা-জোড়গাছ সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ট্যাংলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল হক, সদস্য হযরত আলী, তেল ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম সাবু, মনিরুল আলম লিটু প্রমুখ। এসময় বক্তারা দ্রুত ভাসমান তেল ডিপো দুটি চালু ও স্থায়ীকরণের দাবি জানান। পরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন তারা৷
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সাল থেকে ২২জন ডিলারের মাধ্যমে তেল সরবরাহ করে আসা ভাসমান তেল ডিপো যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের বার্জ দুটি অজানা কারনে গত ৫বছর ধরে জ্বালানি তেলশূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভাসমান ডিপো দুটিতে তেল না থাকায় চড়া দামে তেল কিনতে হচেছ কৃষকদের। ফলে কুড়িগ্রামসহ তিন জেলার কয়েক লক্ষ গ্রাহক বিপাকে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিপো দুটির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য সংকট দেখিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তেলশূন্য অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে বার্জদুটো। অথচ এই ব্রহ্মপুত্র নদের রুট ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়াসহ চিলমারী-রৌমারী দুটি ফেরি চলাচল করছে।