

বাংলাদেশে ফুটবলের সাম্প্রতিক নবজাগরণকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। এ উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে অবকাঠামো, পরিকল্পনা, সুযোগ ও পেশাদারিত্বের ওপর। মূল অগ্রাধিকারগুলো হলো:
ক) অবকাঠামো উন্নয়ন:
প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় মানসম্মত স্টেডিয়াম ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন।
আধুনিক জিম, চিকিৎসা ও রিকভারি সুবিধা।
বয়সভিত্তিক একাডেমিগুলোতে নিয়মিত অনুশীলনের সুযোগ।
খ) গ্রাসরুট ও বয়সভিত্তিক লিগ:
নিয়মিতভাবে অনূর্ধ্ব–১৩, অনূর্ধ্ব–১৫ ও অনূর্ধ্ব–১৭ লিগ আয়োজন।
বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
স্থানীয় প্রতিভা চিহ্নিতকরণ কর্মসূচি।
গ) কোচিং ও টেকনিক্যাল দক্ষতা:
দেশীয় কোচদের জন্য আন্তর্জাতিক (AFC/UEFA) লাইসেন্স অর্জনের সুযোগ।
বিদেশি পরামর্শকের মাধ্যমে স্থানীয় কোচদের দক্ষতা বৃদ্ধি।
পেশাদার ফিটনেস কোচ, গোলরক্ষক কোচ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নিয়োগ।
ঘ) পেশাদার লিগ শক্তিশালীকরণ:
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ নিয়মিত ও মানসম্মত করা।
ক্লাবগুলোতে আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচ নিয়োগে প্রতিযোগিতামূলক নিয়ম প্রবর্তন।
ঙ) প্রশাসন ও নীতি:
বাফুফের দীর্ঘমেয়াদি (১০+ বছর) কৌশলগত পরিকল্পনা।
নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়, বরং নীতিনির্ভর ফুটবল ব্যবস্থাপনা।
বর্ধিত কর্পোরেট স্পনসরশিপ ও গণমাধ্যম কাভারেজ।
চ) আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা:
সাফ, এশিয়ান গেমস, এএফসি কাপসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশগ্রহণ।
নিয়মিত ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আয়োজন।
বিদেশি লিগে খেলোয়াড়দের সুযোগ সৃষ্টি।
ছ) খেলোয়াড় উন্নয়ন ও পেশাদারিত্ব:
ফিটনেস, পুষ্টি ও মনস্তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণে সহায়তা।
চুক্তি, বেতন ও ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় পেশাদার ব্যবস্থাপনা।
অবসরের পর খেলোয়াড়দের কোচিং বা প্রশাসনে যুক্ত হওয়ার পথ তৈরি।
মন্তব্য:
বাংলাদেশে টেকসই ফুটবল উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে গ্রাসরুট কার্যক্রম, বয়সভিত্তিক কাঠামো, কোচিং দক্ষতা, পেশাদার লিগ, অবকাঠামো ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনায়।
ক্রমশ…
লেখক:
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ফারুক
নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক ও কলামিস্ট

