যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি ও মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার মধ্যরাতে আছড়ে পড়া এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার (১৭ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসার জানান, শুধুমাত্র তার রাজ্যেই অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা ও নিউইয়র্ক পোস্ট।
অন্যদিকে, মিসৌরিতে সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, টর্নেডোর আঘাতে ধসে পড়া বহু ঘরের নিচে এখনো অনেকে আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারে জরুরি কার্যক্রম চলছে।
পার্শ্ববর্তী আরও দুটি অঙ্গরাজ্যেও ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব চালিয়েছে। সেখানে আরও দুজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাতে কেনটাকির লরেল কাউন্টিতে টর্নেডোর আঘাতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। পুলিশের কর্মকর্তা জন রুট এক বিবৃতিতে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মিসৌরির সেন্ট লুইস শহরের মেয়র কারা স্পেনসার নিশ্চিত করেছেন, তার শহরে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত পাঁচ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেন্ট লুইস থেকে প্রায় ২০৯ কিলোমিটার দক্ষিণে স্কট কাউন্টিতেও একটি টর্নেডো আঘাত হানে, সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন অনেকেই, আর অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।