সুদানে একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১০ জন। সুদানের রাজধানী খার্তুমের ওমদুরমানে বিমানটি অবতরণের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
একজন সামরিক কর্মকর্তার মতে, নিহতদের মধ্যে মেজর জেনারেল বাহর আহমেদ বাহর ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আওয়াদ আইয়ুবসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু নিহত রয়েছে বলেও জানা গেছে। প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে খবরে বলা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটি লোহিত সাগরের তীরবর্তী শহর পোর্ট সুদানে যাওয়ার পথে সামরিক সরকার সমর্থিত কারারি জেলার আল-থাওরা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
খার্তুমের আঞ্চলিক সরকারের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে ৪৬ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এর আগে সেনা নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা বিকট বিস্ফোরণের শুনতে পান। এরপর ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণে আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জানুয়ারিতে ইউনিটি প্রদেশের একটি তেলের খনি অঞ্চলের রানওয়ে থেকে রাজধানী জুবার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল একটি বিমান। যদিও ওড়ার পরেই স্থানীয় সময় সাড়ে ১০টা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে ৫০০ মিটার দূরে ভেঙে পড়ে বিমানটি।
দক্ষিণ সুদান সরকারের তরফে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটও মারা গিয়েছেন। যাত্রীরা সকলেই ওই তেলের খনির কর্মী। তাদের মধ্যে ১৬ জন সুদানি, ২ জন চীনা, একজন ভারতীয়। দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ওই তেল খনির সুদানি ইঞ্জিনিয়ার। তাকে দ্রুত বেনিতুই স্টেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল অন্তত ৪৬ জনের।
সূত্র: সিএনএন