মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্টে ভ্লাদিমির পুতিন শিগগিরই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে।
রাশিয়া দু’টি উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সূত্র জানিয়েছে, মস্কোর কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে দুটি দেশ সফর করেছেন।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকের ভেন্যু নির্ধারণ নিয়ে মস্কোর কয়েকজন কর্মকর্তা সন্তুষ্ট নন। তাদের মতে সৌদি কিংবা আমিরাত নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যু নয়। উভয় দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ও নিরাপত্তা চুক্তিতে আবদ্ধ।
সম্ভাব্য এ বৈঠকের বিষয়ে জানার জন্য সৌদি ও আমিরাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
রাশিয়ার সূত্রের বরাতে জানা গেছে, দুই নেতার বৈঠকে দুটি ইস্যু গুরুত্ব পাবে— জ্বালানি তেলের দাম এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান।
টানা প্রায় দেড় বছর ধরে বাজারে মন্দাভাব চলার পর ২০২৩ সালের শেষ দিকে জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক প্লাস। মূলত রাশিয়ার প্রস্তাবেই নেওয়া হয়েছিল এ সিদ্ধান্ত।
ওয়াশিংটন শুরু থেকেই ওপেক প্লাসের এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ কয়েকবার সৌদি ও আমিরাতকে তেলের উত্তোলন আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনার আহ্বানও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওপেক প্লাস তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেনি।
তবে জ্বালানি তেলের চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের ইস্যুটি। কারণ গত জানুয়ারি মাসে শপথ গ্রহণের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেবেন তিনি।