মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনী দুর্বৃত্তদের চারটি অবৈধ বাঙ্কার ধ্বংস করেছে এবং ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলায় অন্য তিনটি বাঙ্কার দখল করে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সব বাঙ্কার থেকেই দুষ্কৃতীরা নিচে নেমে এসে লোকালয়ে হামলা চালাত। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, সেনাবাহিনী, বিএসএফ, সিআরপিএফ এবং পুলিশের সম্মিলিত বাহিনী শনিবার থেকে সাবুংখোক খুনউ, শান্তিখোংবাল, থামনাপোকপি, সানসাবি, উয়োক চিং এবং নাটুম চিং এলাকায় থামনাপোকপি এবং সানসাবি গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায়। শুক্রবার থামনাপোকপি এবং সানসাবি গ্রামে বন্দুক হামলায় একজন পুলিশ এবং একজন নারীসহ চারজন আহত হওয়ার পরে এই অভিযান শুরু করা হয়। কাংপোকপি জেলার পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা নিম্নাঞ্চলের থামনাপোকপি এবং সানসাবি গ্রামে বন্দুক হামলা শুরু করে।
পাল্টা জবাবে নিরাপত্তা বাহিনী এবং গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকরা গুলি চালায়।পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, 'অপারেশন চলাকালীন (শনিবার থেকে), এই এলাকাগুলি থেকে সমস্ত সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বছরের মে মাস থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মণিপুর। কুকি ও মেতেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনের বেশি মানুষের। হিংসাদীর্ণ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে বিপুল পরিমাণে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তারপরও ইতিউতি জারি রয়েছে দুর্বৃত্তদের আক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনা, পুলিশ ও অন্যান্য আধাসেনার যৌথবাহিনী। শুক্রবার থেকে মণিপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে একজন স্থানীয় টিভি সাংবাদিক, একজন পুলিশ সদস্য এবং গ্রামের দুই স্বেচ্ছাসেবক আহত হয়েছেন। ক্রিসমাসের দিনটি বাদ দিয়ে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে ফের সহিংসতা শুরু হয়েছে।
নতুন বছরের আগে নিরাপত্তা বাহিনী মণিপুরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পার্বত্য ও উপত্যকা উভয় অঞ্চলেরই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে। যার ফলে গত সপ্তাহ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, বিশেষ করে চুরাচাঁদপুর এবং টেংনুপালের মতো জেলাগুলি থেকে। সেনা-পুলিশের এই যৌথ অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে, একটি লাইট মিশন বন্দুক, ১২ বোরের সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক, ৯ এমএম পিস্তল, দুটি টিউব লঞ্চার, ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া