আলোচিত গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে এক তরুণীর করা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নোবেলের নামে ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
২০১৮ সালে নোবেলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। তিনি তখন ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজে অধ্যায়নরত ছিলেন। নোবেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় কথা-বার্তা বলতেন। এরপর নোবেলের সঙ্গে দেখাও করেন সেই তরুণী।
নোবেল তাকে নিজের স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরা থানা এলাকায় তার বর্তমান ঠিকানার বাসায় নিয়ে যান। এরপর সেই তরুণী ফিরতে চাইলে একপর্যায়ে আরো ২/৩ জন বিবাদীদের সহায়তায় তাকে সেই বাড়ির একটি কক্ষে আটক করে রাখেন নোবেল। এ সময় তার মোবাইল ফোনও ভেঙ্গে ফেলেন। সেই ঘরে আটক রেখে তরুণীকে ধর্ষন করেন নোবেল এবং ধর্ষনের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন।
তার কথামতো না চললে মোবাইল ফোনে ধারনকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে বলেও হুমকি দেন।
এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, সেই তরুণী নোবেলের ভয়ে কাউকে কোনও কিছু বলার সাহস পাননিনি। নোবেল নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বিভিন্ন সময় তাকে মারপিট করতো। সম্প্রতি অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের সহায়তায় তাকে সিঁড়ি দিয়ে চুলের মুটি ধনে টানা হেচড়া করে অপর একটি কক্ষে আটক করে রাখে নোবলে। সেই ঘটনার একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সেই তরুণীর পিতা-মাতা তাকে চিনতে পারে।
এরপর পিতা-মাতা তার খোঁজাখুজি করা অবস্থায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে গতকাল সোমবার রাত অনুমান সাড়ে নয়টার দিকে ডেমরা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে সেই বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, সেই তরুণীকে গত বছরের নভেম্বর মাসে অপহরণ করে গতকাল পর্যন্ত সেই বাড়িতে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। উদ্ধারের পর পরিবারের সহযোগিতায় নোবেলের নামে মামলা করেন সেই তরুণী। যার প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।