ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গতকাল ২০ মে রাতে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। মৃত্যু’র ঘটনা তদন্ত এবং এসংক্রান্ত আইনি ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত ধারাবাহিক পদক্ষেপ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য সাম্য’র পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আজ ২১ মে ২০২৫ বুধবার উপাচার্য কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাম্য’র পিতা মো. ফকরুল আলম এই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং সাম্য’র ৩ ভাই এস. এ. এম. আমিরুল ইসলাম, এস. এ. এম শরীফুল আলম ও এস. এ. এম শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে আমরা সকল প্রকার রাজনীতির বাইরে থাকতে চাই। তিনি বলেন, যেকোন প্রয়োজনে সাম্য’র পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করা হবে। তিনি সাম্য’র পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা তাদের পাশে থাকবে।
সাম্য’র পিতা মো. ফকরুল আলম অপরাধীদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।