ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন এপ্রিলে আয়োজনের চিন্তা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ডাকসুর আচরণবিধি, পরামর্শ প্রদান ও গঠনতন্ত্র সংস্কারের জন্য গঠিত হয়েছে পৃথক তিনটি কমিটি। সবকিছু ঠিক থাকলে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে আসতে পারে রোডম্যাপ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এপ্রিল নাগাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারি প্রায় পেরিয়ে গেলেও কেন এখনো অবধি ডাকসু নির্বাচন হতে পারলো না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইবিএসহ আমাদের তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, একই সঙ্গে বইমেলা এবং একুশে ফেব্রুয়ারি এসবকেন্দ্রিক যথেষ্ট ব্যস্ততা ছিল। আবার তিনটি কমিটি কাজ করছে আলাদা করে; সেখানেও সময় প্রয়োজন। তাই ফেব্রুয়ারিতে সম্ভব হয়নি। আমরা এখনো স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলছি। বারবার বসছি। তাই সময় লাগছে।
তিনটি কমিটির কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের তিনটি কমিটির কাজই শেষের দিকে। অনেকরকম স্টেকহোল্ডার থাকায় সবার সঙ্গেই কথা বলতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ছাত্রসংগঠন সবার সঙ্গেই কথা বলতে হয়। আবার সবাইকে সমান ভাবে সন্তুষ্ট করে কিছু করাটাও কঠিন। গঠনতন্ত্রের বিষয়ে আমরা সব সংগঠনের মতামত নিয়েছি; এখন যাচাই বাছাই শেষের দিকে।
পরামর্শ প্রদানের বিষয়টির ক্ষেত্রে আমরা দুজন অভিজ্ঞ মানুষকে সঙ্গে নিয়েছি। একজন হলেন- প্রফেসর ড. শরিফউল্লাহ ভুঁইয়া, তিনি ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান। এ দুজন অতীতে ডাকসু নির্বাচন দেখেছেন এবং ডাকসু’র নির্বাচন বিষয়ে তারা বেশ অভিজ্ঞ। তাদের পরামর্শ আমরা গ্রহণ করছি। আর আচরণবিধি চূড়ান্ত হয়ে গেছে; তবে ছোটখাটো কিছু বিষয়াদি সংযোজন-বিয়োজন চলছে এখনো। আচরণবিধি ও গঠনতন্ত্রের বিষয়টি আমাদেরকে সিন্ডিকেটেও পাস করিয়ে নিতে হবে। সবমিলিয়ে মার্চের মাঝামাঝি আমরা সব গুছিয়ে রোডম্যাপ দিতে পারবো আশা করছি। তারপর নির্বাচনটা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সবশেষ বিতর্কিত ডাকসু নির্বাচন হয়। এতে ছাত্র অধিকারের নুরুল হক নুর ভিপি নির্বাচিত হন। জিএসসহ অন্যান্য পদ পান ছাত্রলীগের নেতারা।