ঢাকা
১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সন্ধ্যা ৭:২৩
logo
প্রকাশিত : জানুয়ারি ৩০, ২০২৫

সাত কলেজের অভিভাবক কে, কেউ জানে না

রাজধানীর সাতটি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়া হয়েছিল ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ কলেজগুলোর অধিভুক্তি বাতিল করা হয়। ফলে এসব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেও আর থাকল না। এখন কলেজগুলো কীভাবে বা কার অধীনে পরিচালিত হবে তা জানে না কেউ। অধ্যক্ষরা তাকিয়ে আছেন সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে।

কলেজগুলোতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের যে ভর্তিকার্যক্রম চলছিল তা-ও স্থগিত করা হয়েছে গতকাল। অধ্যক্ষরা বলছেন, সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই চলবে এ সাত কলেজ। বড় এ সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কথা বলা হলেও এর কোনো ধারণাই দিতে পারেননি কলেজগুলোর অধ্যক্ষরা।

সরকারি সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা তৈরি করতে ডিসেম্বরে উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানকে এ কমিটির প্রধান করা হয়। ইতোমধ্যে এ কমিটি বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের মতামত নিয়েছে। এরই মধ্যে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হঠাৎই কলেজগুলোর অধিভুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নতুন করে আর শিক্ষার্থী ভর্তি হবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হিসেবেই থাকবে। প্রথম বর্ষের ভর্তিকার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকবে। পরে সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবে পরিচালিত হবে এ সাত কলেজ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যমতে, অধিভুক্ত কলেজের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে শিক্ষাবর্ষ ২০২৪-২৫-এর ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে ৬ জানুয়ারি। এ আবেদন চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে গতরাতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ জানান, এ ভর্তি আবেদন কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। কীভাবে ভর্তিকার্যক্রম সম্পন্ন হবে এ ব্যাপারে কেউ কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।

ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামছুন নাহার বলেন, ‘আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়টি অবগত করেছি। হঠাৎ অধিভুক্তি বাতিলের পর কী করতে হবে এমন প্রস্তুতি তো আমাদের নেওয়া ছিল না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবেই চলব আমরা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। এ কলেজগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হবে কি না, এমন কোনো আলোচনাও জানতে পারিনি। হঠাৎ অধিভুক্তি বাতিল হওয়ার পর নতুন প্রক্রিয়া শুরু হওয়া আসলে সময়সাপেক্ষ। সবার জন্য সুবিধাজনক ও মঙ্গলজনক হবে এমন সিদ্ধান্তই সরকার নেবে বলে প্রত্যাশা করছি।’

সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি সাত কলেজ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানাবে তা মেনে নেব। বর্তমানে প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিকার্যক্রমের মৌসুম। আশা করি সরকার খুব দ্রুত এ বিষয়টি সমাধান করবে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে রাজধানীর সাত কলেজের পৃথক্করণের সিদ্ধান্ত জানান। একই সঙ্গে চলমান ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসনসংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলেও উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram