ঢাকা
২৮শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ১০:৩৬
logo
প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

এমাজউদ্দীন আহমদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বজনীন

ঢাবি প্রতিনিধি: দেশের প্রথিতযশা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভা ও স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ স্মরণসভা ও স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। এমাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ সেন্টার এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

স্মরণসভায় বক্তারা এমাজউদ্দীন আহমদের বিস্তৃত কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদকে তার সততার জন্য সবাই শ্রদ্ধা করতেন। তিনি সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বজনীন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হাকিম। তিনি তার বক্তৃতায় অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের নানান বর্ণাঢ্য বিষয় তুলে ধরে বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ সত্যবাদী ও নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতেন। হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিতেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার কারিগরও ছিলেন তিনি।

এমাজউদ্দীন আহমদ কোনো ঘরানার মানুষ ছিলেন না উল্লেখ করে আবদুল হাকিম বলেন, তিনি সব সময় সত্য কথা বলতেন। কারও পছন্দ হোক বা না হোক, সত্য কথা বলে যেতেন। ছিলেন বড়মাপের বুদ্ধিজীবী।

এমাজউদ্দীন আহমদের ছাত্র ও ঘনিষ্ঠজন আবদুল হাকিম বলেন, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বজনীন। তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা–সম্মান করতেন। এমাজউদ্দীন তাঁর জীবদ্দশায় ৩৯টি বই লিখেছেন। এর মধ্যে ৩০টি বাংলা ভাষায় ও ৯টি ইংরেজি ভাষায়। তিনি ১৫০টির বেশি প্রবন্ধ লিখেছেন।

সূচনা বক্তব্যে এমাজউদ্দীন আহমদের কন্যা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ একজন স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষ ছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সবাই মন খুলে কথা বলবে। আমার বাবা বিশ্বাস করতেন যুবসমাজ দেশের ভবিষ্যত এবং এদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। যুবসমাজের প্রতি তার অত্যন্ত ভালবাসা ছিল। তার জন্মবার্ষিকী পার হলো, আপনার সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তার কবরকে বেহেশতের বাগান বানিয়ে দেন। আমরা সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে এই প্রার্থনা করছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম। তিনি বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ কোনো দল, গোষ্ঠী বা পক্ষের রাজনীতি করেননি। তিনি ছিলেন স্বকীয় ধারায় দেশপ্রেমসঞ্জাত একজন বুদ্ধিজীবী; যিনি গণতন্ত্রকে একটি জাতির জীবনকাঠি মনে করতেন। তাঁর এ স্বাতন্ত্র্য সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। তাঁর বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে এবং তাঁর পরিবার অন্যায় ও অনাচারের শিকার হয়েছে।

অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের মতো নিবেদিতপ্রাণ অনির্বাণ হয়ে বাতিঘরের মতো এ জাতিকে চিরকাল পথ প্রদর্শন করবেন বলে উল্লেখ করেন আবদুল লতিফ মাসুম। বলেন, ‘গণতন্ত্রের বাংলাদেশে জাতিরাষ্ট্রের এই সময়ে তাঁকে খুব প্রয়োজন ছিল।’

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক ফজল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবাহ উল-আজম সওদাগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক নেতা কবি আবদুল হাই শিকদার, এমাজউদ্দীন আহমদের ছেলে জিয়া হাসান প্রমুখ।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram