হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: গত ২৬ ও ২৭ জুন একাধিক স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে 'হাতিয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন', 'হাতিয়ায় পিচ্চি আজাদকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদ।
শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, "কথিত মৎস্যজীবী নামীয়দের মানববন্ধন ছিল স্থানীয় গুটিকয়েক চিহ্নিত অপরাধচক্রের সাজানো, পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটা কর্মযজ্ঞ। দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরইশ্বর ইউনিয়নে যারা সময়ে সময়ে দখল, চাঁদাবাজিসহ সমাজবিরোধী নানান অপরাধে যুক্ত তারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত। আমি সুনির্দিষ্ট কোনো অপরাধ মামলার আসামি নই, যা তারা প্রচারে লিপ্ত। আমি কেবলই একজন সাধারণ মৎস্য ব্যবসায়ী এবং চরইশ্বর ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। এই এলাকার আপামর জনসাধারণের সুখ-দুখে যেমন আছি, তেমনি আমারও সুবিধা-অসুবিধায় মানুষ এগিয়ে আসে। আমি কোনো দলবাজিতে বিশ্বাসী নয়, এলাকার সব মানুষ এবং সকল সম্প্রদায় আমার দৃষ্টিতে সমমর্যাদাসম্পন্ন। সমাজবদ্ধ মানুষের সাথে আমার এই মেলবন্ধনে ঈর্ষান্বিত হয়ে গুটিকয়েক লোক সবসময় মিথ্যাচারে লিপ্ত থাকে। যেমনটি অপেশাদারি ৬০/৭০ জন লোক দিয়ে অহেতুক অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন। তারা মিথ্যাচার করেছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইসমাইল মেম্বার, আকবর মেম্বার ও নবীর ডুবাইর বিরুদ্ধেও। যে অভিযোগের ধারে কাছেও আমরা নেই। বরং প্রতিনিয়ত যারা বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়ায় আমি তাদের বিরুদ্ধে বাঁধার কারণ। প্রশাসনের সকল স্তরের গোয়েন্দা সংস্থা যদি সুন্দর ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন তবে প্রকৃত অপরাধী ও তাদের গডফাদারের মুখোশ উন্মোচন হবে। "
তিনি আরও বলেন, "আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেও করার জন্য একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে আমি ১৮৩৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছি কিন্তু উপজেলা পরিষদে এনে দ্বিতীয়বার ভোট পুনর্গণনার নাম করে আমাকে ১৩৪ ভোটে পরাজিত দেখায়। ২০১৬ সালে আনারস প্রতীক নিয়ে আমি ১৪ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১২০০ ভোট পেয়ে জামানত হারান। ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না নিশ্চিত হওয়ারপর ভোটের দিন সকাল ৮টায় আমি নির্বাচন বর্জন করি। সুতরাং ওই এক ব্যক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী যাতে মাঠে থাকতে না পারে সেজন্য আমার বিরুদ্ধে কালোটাকা ছেড়ে সবরকমের অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এ মিথ্যাচারে নিমিত্ত মানববন্ধন আর প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। "