জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গেলে পুলিশ সদস্যসের সাথে বাকবিতণ্ডার জেরে নীলফামারী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আসাদুজ্জামান আসাদকে আটক করে ডিমলা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় ডিমলার খগাখড়িবাড়ী এলাকার নিজ বাড়ী থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামী দোসর হিসেবে তাকে আটক করার কথা জানায় পুলিশ।
নীলফামারী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট আসাদকে আটকের খবরে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আইনজীবীদের সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলে আইনজীবীরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক ও পিপি আল মাসুদ চৌধুরী, সরকারি কৌশলী অ্যাডভোকেট আবু মো. সোয়েম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান রিনো, এপিপি অ্যাডভোকেট মামুন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান আজাদসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
রাত সাড়ে ১১টায় আইনজীবী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসে পুলিশ সুপার। সেখানে আটক আইনজীবী আসাদকে ছেড়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় এসপি এএফএম তারিক হোসেন খান। তবে আইনজীবী আসাদকে আটকের বিষয়ে পুলিশ সুপারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ও জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে কাজ করার পরেও যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী দোসর বলে আইনজীবীকে আটকের ঘটনা দুঃখজনক। আশা করি ভবিষ্যতে পুলিশ আরও সচেতনভাবে কাজ করবে।
তিনি আরও জানান, অ্যাডভোকেট আসাদকে যে কাগজটি দিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ আইন বিষয়ক সম্পাদক বানানো হয়েছে তা অসত্য ও ভূয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে এলাহী বলেন, যুবলীগ সদস্য হিসেবে পাওয়া কাগজটি সঠিক। তবে আটক অ্যাডভোকেট আসাদ জানিয়েছেন, তিনি যুবলীগ করতেন না, তার অগোচরে তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।