কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: কেরানীগঞ্জের হাট গুলোতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু । আজ (৩১ মে ) শনিবার সকাল থেকেই গরুর ট্রাক নিয়ে ব্যাপারীরা কেরানীগঞ্জের হাটগুলোতে প্রবেশ করতে থাকে।
রাজশাহী থেকে জিনজিরা হাটে গরু বিক্রি করতে আসা ব্যাপারী ফাহিম বলেন, আমরা প্রতি বছর কেরানীগঞ্জের জিনজিরা হাটে ৫০/৬০টি কোরবানির পশু নিয়ে আসি। এ হাটে বিক্রি ভালো হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই আমরা যত কষ্টই হোক তারপরও এ হাটেই আসি। এখানে হাট কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য পর্যাপ্ত থাকা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
জামালপুর থেকে আগানগর হাটে গরু নিয়ে আসা কলিম ব্যাপারী বলেন, আমরা গরিব মানুষ একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাটে আসি। এখনো গরু বেচাকেনা শুরু হয়নি। আমি ৩০টি গরু নিয়ে এসেছি। তবে যে বৃষ্টি হচ্ছে আমাদের থাকা একটু কষ্টই হয়ে যাচ্ছে। তারপর ও যদি গরুর দাম ভালো পাই তাহলে এই কষ্ট থাকবে না ।
জিনজিরা হাটে গরু কিনতে আশা ইয়াসিন জানান, পশুর হাটে ঘুরছি যদি দামে বনিবনা হয়, তাহলে কোরবানির জন্য পশু কিনে বাসায় যাব। তবে এখন পশুর অনেক দাম হাঁকাচ্ছে বিক্রেতারা। আশা করি আরও পশু হাটে এলে দাম কমে আসবে। তবে গত বছরের চেয়ে এবার অনেক আগেই হাটে বেশি গরু উঠেছে। দুইদিন পর আরো গরু হাটে আসলে মনে হয় দাম অনেকটাই কমে যাবে।
আরেক গরুর ব্যাপারী অভিযোগ করে বলেন, হাট গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ঠিকই আছে। কিন্তু আমাদের মূল সমস্যা রাতে থাকা এ বিষয়টি হাট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কেননা আমরা ঢাকার বাইরে থেকে এই হাটে গরু বিক্রি করতে আসছি। আমরা বছরে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশু বিক্রির জন্য ঢাকা আসি, আর এখন যদি এমন কষ্ট করা লাগে,
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আলামিন তালুকদার বলেন,কেরানীগঞ্জের প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।প্রতিটি হাটে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। হাঁটের নিরাপত্তায় আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশের একাদিক টিম কাজ করছে।