এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই সুনিল মাতা (৫৮) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে ঘাতক বড় ভাই নিখিল মাতা (৬২) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিহত ওই কৃষকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাটে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রবিবার দুপুর ১টার দিকে নিহতের ছেলে সুমন মাতা বাদি হয়ে চাচা নিখিল মাতা ও তার ছেলে প্রসনজিৎ মাতাকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের সুধাংশু মাতার ছেলে কৃষক সুনিল মাতা (৫৮) কে পারিবারিক দ্বন্দ ও সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে তারই আপন বড় ভাই নিখিল মাতা ও তার ছেলে প্রসনজিৎ মাতা ধারালো কুড়াল ও গাছি দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর জখমী সুনিল মাতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই থানার ওসি ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ঘাতক ভাই নিখিল মাতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। নিহত কৃষক সুনিল মাতার পরিবারে স্ত্রী পুতুল মাতা, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এদিকে রবিবার সকালে নিহতের সুনিল মাতার মেয়ে পিয়াংকা মাতা, জামাতা শিশির দাস, পুত্রবধূ স্বর্ণা মৃধাসহ স্বজনেরা বলেন, এভাবে নৃশংসভাবে কুপিয়ে কিভাবে একটা মানুষকে হত্যা করে। তাও আবার আমার আপন চাচা। ওই খুনি ও তার ছেলের ফাঁসি চাই প্রশাসনের কাছে। তার পিতা রাত ৮টার দিকে ছোট ভাই পবিত্র মাতাকে খুঁজতে গিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির নিকটে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওৎ পেতে থাকা চাচা নিখিল মাতা ও তার ছেলে প্রসনজিৎ মাতা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার পিতাকে হত্যা নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাজীব আল রশিদ বলেন, সিমানা বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই সুনিল মাতা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তার ছেলে সুমন মাতা বাদি হয়ে রবিবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘাতক নিখিল মাতাকে রাতে গ্রেফতার করে রবিবার সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।