কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস ধরে শূন্য রয়েছে দিনাজপুরের কাহারোলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পদটি শূন্য থাকায় জমি বেচা-কেনা, নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, মিসকেসসহ সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ৫মার্চ’২৫ মাসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ বোরহান উদ্দিন সরকারি আদেশে বদলি হয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলায় চলে যান। এরপর থেকে অত্র উপজেলায় এই পদটি শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আমিনুল ইসলাম অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ভূমি অফিসের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তবে একাধিক দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নিয়মিত ভূমি অফিসে দায়িত্ব পালন করা তার জন্য এক প্রকার কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে কাঙ্কিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের জনগণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সেবা প্রাপ্তি এই প্রতিনিধিকে জানান, এসিল্যান্ড স্যার বদলি হয়ে যাওয়ার পর-পরেই আমরা জমি নামজারির জন্য আবেদন করেছিলাম, এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। এব্যাপারে উপজেলা ভূমি অফিসে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না, কবে নাগাত নামজারি সম্পূন্ন হবে।
শুধু সাধারণ জনগণই নয়, দলিল লেখকরাও ভূমি অফিসের সেবা কার্যক্রম ধীরগতিতে চলার কারণে সমস্যায় পড়েছেন তারা। উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ দলিল লেখক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খাজনা-খারিজ না থাকায় দলিলও তেমন সম্পাদন হচ্ছে না। সপ্তাহে দুই দিন সাব-রেজিস্ট্রেরি অফিসে দলিল সম্পাদনের কাজ হয়ে থাকে এবং কাহারোল এলাকায় প্রচুর জমি-জমা বেচা-কেনা হয়। কিন্তু নামজারি, বাটোয়ারা এবং খাজনা পরিশোধ ছাড়া জমি হস্তান্তর করা যায় না। সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা না থাকায় এসব কাজ আটকে আছে। আমরা তেমন কোনো কাজ কর্ম করতে পারছি না, নামজারির অভাবে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, অত্র উপজেলার অধীনে ছয়টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে, যা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বারা পরিচালিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা না থাকায় এসব অফিসেও ভূমি সংক্রান্ত সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আমিনুল ইসলাম-এর সাথে শনিবার (১৭মে’২৫) দুপুর ১টা ৫মিনিটের দিকে তার মুঠোফোনে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এই উপজেলায় ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটি শূন্য থাকায় আমি রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের নিকট চাহিদা দিয়েছি।