এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট): বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের জমি দখলে শতাধিক কলা চারা উপরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
এ ঘটনায় শুক্রবার ভূক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সন্তোষ কুমার রায় বাদি হয়ে বিভূতি ভূষন মন্ডলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নে গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার রায়ের ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় বাগানবাড়ির রোপনকৃত কলা ক্ষেতে জমি বিরোধের জের ধরে বুধবার সাকালে পার্শ্ববতী চর গোপালপুর গ্রামের বিভূতি ভূষন মন্ডলের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ওই শিক্ষকের শতাধিক কলা চারা উপরে ফেলে দেয়।
এদিকে এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ করেছেন গোপালপুর ও চরগোপালপুরের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক নারায়ন চন্দ্র মিস্ত্রী, বিকাশ কৃষ্ণ রায়, গোপাল মন্ডল,পরিবালা রায়, চঞ্চল মিস্ত্রী একাধিক ভূক্তভোগীরা বলেন, দুটি গ্রামের ৫৫ টি হিন্দু পরিবার শান্তিপ্রিয়ভাবে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি বিভূতি ভূষন মন্ডল বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে একাধিক পরিবারকে হয়রানি, মিথ্যা অভিযোগ, জমি বিক্রি বুঝিয়ে দিয়ে উল্টো হয়রানি করছে। একাধিক পরিবারকে করেছে ভিটেমাটি ছাড়া, বর্তমানে অশান্তি করে তুলছে দুই গ্রামের
একাধিক পরিবারকে। আমরা প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সন্তোষ কুমার রায় বলেন, ২০০৬ সালে ১ একর ৩৮ শতক জমি ক্রয় করে সেখানে কৃষি কাজ করে আসছি। এর মধ্যে ২১ শতক জমি দখলের জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভূতি ভূষন মন্ডল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কাছে ন্যায় বিচার চাই।
বিভূতি ভূষন মন্ডল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তিনি কারও জমি দখল ও কলা ক্ষেত বিনষ্ট করেননি। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাজিব আল রশীদ বলেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের কলা ক্ষেতের ক্ষতিস্বাধনের একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।