শাহজাহান হেলাল, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: এক সময় প্রাণবন্ত কুমার নদী আজ অস্তীত্ব বিলীনের পথে। নদীর প্রবাহ হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ফরিদপুরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া এই নদী। যুগের পর যুগ চলে যায় কিন্তু খনন করা হয় না নদী। দু'একটি জায়গায় খনন হলেও বেশির ভাগ স্থানে নদী খননের অভাবে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে কুমার নদীটি। সরেজমিনে ফরিদপুর সদর উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী মধুখালী উপজেলার বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এ সময় কথা হয় মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাজ্জাদের সাথে। তিনি বলেন, আমার বয়সে কখনো আমাদের কুমার নদীটি খনন করতে দেখিনি, খননের অভাবে দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে নদীটি। একটা সময় নদীতে বিভিন্ন দেশীয় মাছ পাওয়া যেত, কিন্তু বর্তমান চিত্র ভিন্ন, যেখানে পানিই নাই সেখানে মাছ কিভাবে থাকবে। সরকার নদী খননের বিষয়টা যেন দ্রুতই শুরু করে এই দাবি জানাই।
ফরিদপুর সদর উপজেলার বসুনরসিংদীয়ার বাসিন্দা হেলাল মোল্যা তিনি বলেন, আমরা দেখেছি একটা সময় নদী অনেক প্রশস্ত ছিলো, বিভিন্ন দেশীয় মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু বর্তমানে খননের অভাবে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে এ নদী। আমি চাই দ্রুতই যেন নদীকে বাঁচাতে সরকার একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কয়েক দশক আগে কুমার নদীর বুক জুড়ে নৌকা চলাচল করত, কৃষকরা সেচের পানি পেত, জেলেরা মাছ ধরত। এখন বর্ষাকাল ছাড়া নদীতে পানি থাকে না। কোথাও কোথাও নদী শুকিয়ে গেছে। ফলে নদী হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক প্রবাহ। এখন আর নদী বলে কিছু নেই। খালের মতো হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ধানক্ষেত হয়ে গেছে নদীর ভেতর।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন, ২০২২ সালে একবার কিছু জায়গা খনন করা হয়েছিলো এবং কিছু জায়গা ত্রুটির কারণে খনন করা সম্ভব হয়নি। চেষ্টা করছি পদ্মা নদী থেকে কুমার নদীর প্রশাখায় খনন করতে, এতে সব সময় নদীতে পানি থাকবে এবং বাকি যেগুলো স্থানে খনন সম্ভব হয়নি সেগুলো ত্রুটির সমস্যা সমাধান করা হবে।