মো. শফিকুর রহমান, রাঙামাটি প্রতিনিধি: কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের আয়োজনে বিএফডিসি রাঙ্গামাটি সদর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, কাপ্তাই লেক সারা বাংলাদেশের গর্ব। এতো সুন্দর লেক আর কোথাও নেই। এ লেক মানুষের জীবন জীবিকার সাথে জড়িত, মানুষের ভালো থাকার সাথে জড়িত। কাপ্তাইয়ে আগে অনেক প্রজাতির দেশীয় মাছ ছিল। প্রায় ৮৬ প্রজাতির দেশীয় মাছ, যেটা এখন কমে গিয়ে মাত্র ৬৬ প্রজাতিতে চলে আসছে। মাছের যে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা, মাছের প্রজাতির বাড়ানোর জন্য কাজ করে। কাপ্তাই লেকটা আমাদের সম্পদ।
এসময় বক্তারা বলেন, কাপ্তাই লেকের মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ চাল আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে জানায় বক্তারা।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) অনুপ কুমার চাকমা, এনডিসি, পিএসসি, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটি পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো: ফয়েজ আল করিম, মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ মাহফুজ উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু প্রজনন, বংশবৃদ্ধি, মজুদ এবং হ্রদের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে ০১ মে হতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের সমগ্র এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য আহরণ, শুকানো/সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ রয়েছে।