সোহানুর রহমান, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সবুজ টিয়া শাবক উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। রোববার (১১ মে) সকালে উপজেলার বোয়ালখালী নতুন বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের অধীন হাজাছড়ি, নাড়াইছড়ি ও মেরুং রেঞ্জের যৌথ দল অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযানে পাঁচটি সবুজ টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়, যেগুলো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান (২১) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
পরে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত হাফিজুরকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর ৩৪ ধারা অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ০১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। জরিমানার অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর ইউএনও মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বাজারে বিক্রির জন্য আনা পাঁচটি সবুজ টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে যথাযথ আইন অনুসারে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
হাজাছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘গতকাল রাতে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ফেসবুকে টিয়াগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি পোস্ট দেন। বিষয়টি নজরে আসার পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাজাছড়ি, নাড়াইছড়ি ও মেরুং রেঞ্জের সমন্বয়ে সকালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পাঁচটি সবুজ টিয়া শাবক উদ্ধার ও হাফিজুরকে আটক করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘উদ্ধারকৃত টিয়াগুলো এখনো শাবক হওয়ায় বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে কিছুদিন লালন-পালন করা হবে। পরে উপযুক্ত পরিবেশে বনে অবমুক্ত করা হবে।’
বন বিভাগের সূত্র জানায়, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও অবৈধ পাচার রোধে এমন অভিযান নিয়মিত চালানো হবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্যপ্রাণী কেনাবেচার যেকোনো প্রচেষ্টা নজরে আসলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।