শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বাঁশখালী আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে অস্ত্র চালানের খবর পেয়ে গোপন সংবাদের ভিতত্তিতে চৌকি তল্লাশী চালিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে দুইটি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক ও একটি দেশীয় তৈরী এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হন দুই আসামি।
গ্রেফতার আসামীরা হলেন- কক্সবাজারের পুকুয়া থানাধীন টৈটং ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ফজলুল করিম চৌধুরীর পুত্র মো. সাখাওয়াত হোসেন (২৭), অপরজন বাঁশখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়ার বাজার মিজ্জরি বাড়ির আহমদ হোসনের পুত্র মো. ইলিয়াস (৪১)।
রোবার (১১ মে) দুপুর দুইটায় বাঁশখালী থানার হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) শুধাংশু শেখর হালদার।
সংবাদ সম্মেলন পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের চৌকস একটি টিম রবিরার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৬ টায় বাঁশখালী প্রধান সড়কের থানা গেইটে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি সিএনজিতে তল্লাশী চালানো হয়। এ সময় যাত্রীবেশে থাকা আসামিদের হাতে প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে সাদা ও নীল রঙের পুরাতন চেক লুঙ্গির অংশ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ২টি দেশীয় তৈরী সচল কালো রঙের একনলা বন্দুক লোহা ও কাঠের অংশ চারভাগে পৃথক পাওয়া যায়। একই সাথে একটি প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগের ভিতর সাদা ও নীল রঙের পুরাতন চেক লুঙ্গির অংশ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরী সচল কালো রংয়ের এলজি লোহা ও কাঠের অংশ দুই ভাগে পৃথক পাওয়া যায়।'
তিনি আরও বলেন, 'আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জব্দকৃত দুটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক ও একটি দেশীয় তৈরী এলজি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানা এলাকা হতে সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম শহরের মইজ্জারটেক এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেন।'
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, 'অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে বাঁশখালী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। অস্ত্র চোরা চালান ও মাদকের বিরোদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।'