মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৭ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গ্রেফতারদের চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো- মিরসরাই পৌরসভার বটতল এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র ওয়াছি আলম শান্ত (১৯), মিঠানালা ইউনিয়নের রহমতাবাদ গ্রামের দিদারুল আলমের পুত্র মোহাম্মদ সবুজ (২০), খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বাদামতলী এলাকার কবির হোসেনের পুত্র আরিফুল ইসলাম (১৯), মিরসরাই পৌরসভার তারাকাটিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের পুত্র সোহেল রানা (২০), ইছাখালী ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মোহাম্মদ ইউসুফের পুত্র মোহাম্মদ হৃদয় (১৯), মিরসরাই পৌরসভার পশ্চিম মিরসরাই এলাকার শামসুল হকের পুত্র তারিকুল ইসলাম রিফাত (১৯) ও নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার জমিদারহাট এলাকার এমরান হোসেনের পুত্র রিয়াজ হোসেন (১৯)।
মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ এলাকার আবু বকর সিদ্দিকের পুত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কম দামে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে মোটরসাইকেল ক্রয় করার জন্য মঙ্গলবার মিরসরাই আসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসদরের ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে গ্রেফতাররা। এসময় ভুক্তভোগীকে মারধর করে তার সাথে থাকা নগদ সাড়ে ৬৮ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীর মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে মিরসরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর মিরসরাই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কম দামে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে বহিরাগত কেউ মোটরসাইকেল ক্রয়ের আগ্রহ দেখালে তাদের কৌশলে মিরসরাইয়ে নিয়ে আসেন। মিরসরাইয়ে আসার পর মোটরসাইকেল দেখানোর নাম করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মারধর করে টাকাপয়সা, মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেন।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘মারধর করে নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তা দ্রুত বিচার আইনে মামলা রুজু করা হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের সনাক্তকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদের চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তারা অভিযোগ স্বীকার করেছেন।’