মাজহারুল ইসলাম বিপু, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি গাছ উপড়ে গেছে। লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় ঘরবাড়ি, গাছপালা ও আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শুরু হওয়া এই ঝড়ে প্রায় আধাঘণ্টা লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় তাণ্ডব চালায়। স্থানীয়রা জানান, এ সময় ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে ধান, ভুট্টা, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে তিনটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত সাড়ে দশটার পর এখনো বিদ্যুৎ আসে নাই। ফলে বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ রয়েছে।
কালীগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়নের জুয়েল মিয়া বলেন, “বাড়ির পাশে গাছ পড়ে একটি টিনের ঘর ভেঙে গেছে। এছাড়া ফলমূল সহ বিভিন্ন আবাদি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। একই ইউনিয়নের মাজেদুল ইসলাম জানান, কাকিনা চরের বাজারের কাছে একটি বড় বটগাছ উপড়ে পড়ে তিনটি টিনের ঘর ও বাজারের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে অনেক এলাকায় সড়কের ওপর গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা গাছ সরিয়ে যান চলাচল সচল করেন।
জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলার হারাটী এলাকার বাসিন্দা হায়দার আলী জানান, তার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতায় দুইটি ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকেই। জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে এবং দ্রুত সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।