সোহানুর রহমান, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: সারাদেশের বর্ষবরণে বৈশাখ পাহাড়ে নানান জাতিগোষ্ঠী নানান রঙে হয়ে উঠেছে বৈসাবি। এই সকল জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে নিজ নিজ সংস্কৃতি। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় চাকমাদের বর্ষবরণ উৎসব বিজু। তিন ভাগে বিজু উৎসব পালন করা হয়। ফুল বিজু, মূল বিজু এবং গজ্যাপজ্যা বিজু। ফুল বিজুর দিন গভীর অরণ্য থেকে ফুল সংগ্রহ করে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। নদীতে ফুল দিয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এ উপলক্ষে শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে উপজেলা বৈসাবি উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে একটি র্যালি বের হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ওমর ফারুক, পিএসসি।
তিনি বলেন, ‘পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণে পাহাড়ের জাতিগোষ্ঠীর এই রঙিন সংস্কৃতি একটি উৎসবে রূপ নিয়েছে। আমরা এতে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।’
এই সময় তিনি নতুন বছরে শুভেচ্ছা জানিয়ে বৈসাবি উৎসব উদযাপন কমিটিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে কুশলাদি বিনিময় করেন।
পরে উপজেলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাইনী বিলের মেলার মাঠ থেকে বিজু উপলক্ষে একটি বর্ণিল আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি উপজেলা শহরের মেইন সড়ক পদক্ষিন করে মাইনী ভ্যালিতে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ওমর ফারুক, পিএসসি উপস্থিত ছিলেন।
পরে চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিজুতে অংশ নিয়ে নদীতে ফুল ভাসান দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ওমর ফারুক, পিএসসি।
এতে অন্যদের মধ্যে দীঘিনালা সেনা জোনে উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান, পিএসসি, এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আহনাফ হোসেন, বোয়ালখালী ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা জ্ঞান, দীঘিনালা বৈসাবি উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফুল কুমার চাকমা, শরনার্থী কল্যাণ পরিষদ (মেরুং) ও বৈসাবি উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা লোচন দেওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।