ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৭ এপ্রিল সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বস্তরের জনগণের উদ্বেগে মার্চ ফর প্যালেস্টাইন নামে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ সমাবেশ ,মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠ থেকে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ও প্যালেস্টাইনে জেনোসাইড বন্ধের দাবিতে প্লে কার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি জেলা পরিষদ মার্কেট, কালিবাড়ি মোড়, চৌরাস্তা হয়ে পুনরায় বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। অপরদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উদ্যোগে প্রেস ক্লাব মাঠ থেকে মুসল্লিরা এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে ও শহরের চৌরাস্তায় মানববন্ধনের আয়োজন করে।সমাবেশে বক্তারা বলেন মুসলমানদের প্রথম কেবলা বাইতুল মোকাদ্দাস ও ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরাইলিদের অমানবিক অত্যাচার ও বর্বরোচিত হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এতে কমলমতি শিশুরাও পিছিয়ে ছিল না তাঁদের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।
আর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল বড় মাঠে একটি সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, "ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনে নারকীয় হামলা চালিয়ে আসছে। শিশু, নারী, বেসামরিক মানুষের উপর এ বর্বরতা মানবতার চরম লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে এই আগ্রাসন থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।"
তারা আরও বলেন, "আমরা শিক্ষার্থী হলেও মানবিকতা, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রশ্নে চুপ থাকতে পারি না। আমরা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এবং দখলদার ও দমননীতির বিরুদ্ধে।"
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়। তারা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং আন্তর্জাতিক মহলকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ শেষে প্রার্থনার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয় এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দোয়া করা হয়।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে, মানবতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া কোনো বয়সের বিষয় নয়—এটা একটি নৈতিক দায়িত্ব।