একে মিলন, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ১০টি পয়েন্টে চাল, আটা বিক্রয় কার্যক্রম একযোগে চলছে। খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা ও আটা প্রতি কেজি ২৪ টাকায় বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে তারা কিনছেন এই দুটি খাদ্য পণ্য। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ ওএমএস’র চাল ও আটা কিনতে বর্তমানে ঝুঁকে পড়ছে। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে শত শত নারী ও পুরুষকে। সুনামগঞ্জের বাজারে চালের দাম বেড়ে গরীবের মোটা চালের কেজি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। তাই নিম্ন আয়ের মানুষ ছুটছেন ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারের ওএমএস ডিলারদের কাছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বি এম মুশফিকুর রহমান জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বাদে প্রতিদিন ওএমএস কর্মসূচির জন্য প্রত্যেক ডিলারকে ১ টন করে চাল ও এক টন করে আটা প্রতিদিন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং আটা ২৪ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। ওএমএস-এর দোকান থেকে জন প্রতি ৫ কেজি চাল অথবা আটা কিনতে পারবেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার ষোলঘর মোড়ে ওএমএসের ডিলার আব্দুল হাদী ন্যায্যমূল্যে চাল, আটা বিক্রয় করছেন।
তিনি বলেন, মাহে রমজানে চাল ও আটার মান খুবই ভালো, চাহিদা অনেক বেশি। বাজারে বাড়তি দামে চাল ও আটা কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তাই তারা ছুটছেন ও এমএসের ডিলারের কাছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত বিক্রয় করা হচ্ছে।
লাইনে দাঁড়ানো চাল কিনতে আসা নারী ছকিনা, রিতা, আশা খাতুন জানান, তারা সকাল ০৬টায় এসে দাঁড়িয়েছেন চাল ও আটা নেওয়ার জন্য। নিম্ন আয়ের মানুষেরা এবং ওএমএস’র এই সুবিধা চলমান রাখার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান।