রমজান আলী, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় জনতার গণপিটুনিতে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নিহতের ছোঁড়া গুলিতে স্থানীয় ৫'জন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় নিহতের এক ব্যক্তির কাছে থাকা একটি পিস্তল এবং ৮ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার(৩ মার্চ) রাত ১০'টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। ঘটনায় নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিশ্চিতে চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াত কর্মী নেজাম ৫ আগস্টের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফেরেন। ফিরেই তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি শুরু করেন। নেজাম গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সোমবার নেজাম আরও কয়েকজনকে নিয়ে ছনখোলা এলাকায় গেলে তারাবি নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসল্লিরা নেজাম গ্রুপকে ঘিরে ফেলে। মসজিদের মাইক থেকেও তখন ঘোষণা দেওয়া হয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নেজাম এলাকাবাসীর ওপর গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে পরে নেজাম ও তার সঙ্গীদের গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নেজাম ও ছালেক নামে দুজন মারা যায়।
এঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন, ওবায়দুল(২২), নাসির(৩৮) আব্বাস(৩৮) মামুন সওদাগর(৪৮) মো: সাইদ(২৪)।
এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্তু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস ও সেনাবাহিনী।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী আমাকে জানায় যে, ডাকাতরা যখন ডাকাতির চেষ্টা করে, তখন গ্রামবাসী মসজিদের লাউড স্পিকার ব্যবহার করে তাদের উপস্থিতি ঘোষণা করে। এ সময় ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে দুজনকে ধরে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ৪'টা সিএনজি অটোরিক্সা যোগে ডাকাতির উদ্যোশ্যে ছনখোলা এলাকায় একদল ডাকাত প্রবেশ করেছে স্থানীয়রা মাইকে ঘোষণা দিয়ে গনপিটুনি দেয় এবং ঘটনাস্থলে দু'জনের মৃত্যু হয়। নিহতের এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়লে স্থানীয় ৫'জন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে তাদের কে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরিচয় নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করছে।