ফ্যাসিজমকে পুরোপুরি বিদায়ের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে নিজের দলের অবস্থানও স্পষ্ট করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে জামায়াত আমির বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে যারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন তাদের উদ্দেশ্য ছিল ফ্যাসিজম দূর করা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, তবে ফ্যাসিজম রয়ে গেছে। ফ্যাসিজমকে পুরোপুরি বিদায়ের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার।’
তিনি বলেন, ‘এমন একটা নির্বাচন দরকার যার মাধ্যমে একটি ন্যায্য সরকার গঠিত হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে সময় বেঁধে দিয়েছেন তা হলো ডিসেম্বর টু জুন। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে জুন ২৬ এর মধ্যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা ) নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে। আমরা আমাদের অবস্থান ইতোমধ্যে পরিষ্কার করেছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে। রোজার আগে আগে।’
‘কোনো কারণে যদি এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দেরি হয়; সে অবস্থায় এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে। কারণ মে মাস থেকে আমাদের দেশের আবহাওয়া ক্রমাগত খারাপের দিকে যেতে থাকে। এটা নির্বাচনের জন্য কোনো উপযুক্ত সময় হবে না’, বলেন জামায়াত আমির।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি; তবে সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো অধিকার রাখি না। আমরা নির্দিষ্ট করে যদি বলেই দেই তবে সেটা সিদ্ধান্ত পর্যায়ে চলে যায়। সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আমরা আমাদের মতামত জানাতে পারি, দাবি জানাতে পারি।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন,‘আমরা এখনই আশা-নিরাশার কথা বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) পারফরম্যান্স আরও দেখতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।