অতুল পাল, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে মা- বাবাকে অচেতন করে এক স্কুল ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল (শনিবার) রাত সারে ১২টার দিকে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চর মিয়াজান এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা ও বাবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এঘটনায় অভিযুক্ত চর মিয়াজান এলাকার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. বেল্লাল হাওলাদার (২৫) ও একই গ্রামের আকবর কাজীর ছেলে মো. ফয়সালকে(২০) আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা মটরসাইকেল চালক।আটককৃতদের মধ্যে বেল্লাল হাওলাদার আলোচিত বাউফলের কালাইয়া বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি শিবানন্দ রায় বণিক ওরফে শিবু বণিকের দোকান ডাকাতি ও অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি। গত ৩১ জানুয়ারি তাকে ওই ডাকাতি ও অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। সম্প্রতি সে জামিনে মুক্তি পায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর মা জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে আমরা স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়ি। আমার মেয়ে পড়তে ছিল। রাত ১২টার দিকে বেল্লাল ও ফয়সাল দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে আমাদের অজ্ঞান করে আমার মেয়েকে হাত পা বেঁধে বাড়ির পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আমার মেয়ে ঘরে এসে চিৎকার করলে আশপাশের মানুষ আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
ওই ছাত্রীর মামা বলেন, ফয়সাল ও বেল্লাল দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাগিনীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিয়ে করারও প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা রাজি না হওয়ায় পরিকল্পণা করে ভাগিনীকে ধর্ষণ করেছে। আমার ভাগিনী তাদের হাত পা ধরে মাফ চাইলেও তারা মাফ করেনি। তাকে পাশবিক নির্যাতন করেছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, রবিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। আটককৃত বেল্লাল ও ফয়সালকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।