হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ভাবে ডিজিটাল মেশিন বসিয়ে ডিজেল ও পেট্রোল বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রবিবার হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন তেল ডিপো মালিক হোসাইন মাহমুদ রাদিত।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার সানিয়াজান বাজারের মুদি দোকন মালিক ও খোলা তেল বিক্রেতা রবিউল ইসলাম(৩০) ও রফিকুল ইসলাম(৩৫)।
আর অভিযোগকারী হলেন, উপজেলার বড়খাতা দোয়ানী মোড় এলাকার মেসার্স হক ট্রেডার্স নামের ডিজেল ডিপো মালিক হোসাইন মাহমুদ রাদিত।
জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর ধরে বড়খাতা দোয়ানী মোড়ে মেসার্স হক ট্রেডার্স নামের ডিজেল ডিপোটির বৈধ কাগজপত্র দিয়ে ব্যবসা করে আসছে মালিক রাদিত। এরই মধ্যে উপজেলার সানিয়াজান বাজারে প্রায় ৬ মাস থেকে পেট্রোল পাম্পের মিনি মেশিন ব্যবহার করে ডিজেল ও পেট্রোল বিক্রি করে আসছে রবিউল ও রফিক নামের ওই দুই ব্যবসায়ী। যা সম্পূর্ন অবৈধ বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী রাদিত।
সরেজমিনে সানিয়াজান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাজারের অবস্থিত মসজিদের পাশে রবিউল ইসলামের পান, সিগারেট ও অন্যান্য পন্যের দোকান। সেই দোকানের বারান্দায় একটি কাঠের টেবিলের উপর ছোট ছোট দুটি মেশিন। যার একটি পেট্রোল ও একটি ডিজেলের। অপর দিকে রবিউল ইসলামের বিপরীত দিকে অবস্থিত রফিকুল ইসলামের দোকান। সেখানেও ছোট ছোট দুটি মেশিনে শুধু ডিজেল ও পেট্রোল বিক্রি করা হচ্ছে।
ডিজেল ও পেট্রোল বিক্রির কোন বৈধ কাগজ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে রবিউল ইসলাম বলেন, আমার এক বড় ভাই এসব ব্যবস্থা করে দিছে আমি তার সাথে কথা বলেই কিছু বলতে পারবো। তাছাড়া কিছু বলতে পারবো না বলে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলামের দোকানে গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলেও তার ভাই জহুরুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটি আমার ভাইয়ের দোকন আমি শুধু মাত্র পরিচালনা করি। কিছু জানতে চাইলে তার সাথে কথা বলতে হবে। তবে এ বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী হোসাইন মাহমুদ রাদিত বলেন, মেসার্স হক ট্রেডার্স নামের এই ডিপো প্রায় ২৫ বছর ধরে চালিয়ে আসছি। যার সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। কিন্ত সানিয়জান বাজারের রবিউল ও রফিকু প্রায় ৬ মাস থেকে পেট্রোল পাম্পের ন্যায় ছোট ছোট দুটি মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে ডিজেল ও পেট্রোল বিক্রি করে আসছে। আমি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরের একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি চাই এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সেখানে দ্রত অভিযান পরিচালনা করবো। আর তাদের কাছে যদি বৈধ কোন কাগজ পত্র না থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।