ঢাকা
১১ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ১:৩৮
logo
প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫

বাগেরহাটে সম্মেলন ঘিরে সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯দিন পর মারা গেলেন কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন (৫০)। ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে গত ১১ ফেব্রুয়ারী প্রতিদ্বন্দ্বী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হন বিএনপি নেতা শওকত হোসেনসহ তার গ্রুপের ১৫ নেতাকর্মী। হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ওইদিন প্রথমে তাকে বাগেরহাট জেলা ২৫০ বেড হাসপাতালে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে ভর্তির পর বৃহম্পতিবার সকাল ১০টায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বিএনপি নেতা শওকত হোসেন।

বিএনপির এই নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিকালে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীর আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীর গ্রামের বাড়ী ঘেরাও করে করে রাখলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখানে পৌছে হায়দারকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বিএনপির উত্তেজিত নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেপাড়া বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাগেরহাট-টিতলমারী সড়ক অবরোধ করে দেপাড়া বাজারের সশ্রস্ত্র অবস্থায় বিক্ষোভ করছে। সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। দেপাড়া বাজার থেকে সদর থানা পুলিশ বিএনপির আরো দুইজনকে আটক করেছে। তবে, তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের নাম ও পরিচয় জানাতে পরেনি।

নিহত বিএনপি শওকাত হোসেনের ভাই লিয়াকত হোসেনের জানান, ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমি ও আমার ভাই ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেনসহ ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে আমিসহ আমার ভাই শওকাত হোসেন ও যুবদল নেতা জুয়েল রানাকে প্রথমে বাগেরহাট ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শওকাতে অবস্থ গুরুত্বর হওয়ায় তাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৯দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে তিনি মারা যান।

হামলার বিষয় অস্বীকার করে আফজাল হোসেন বলেন, ‘শওকতের হামলার সঙ্গে আমি বা আমার অনুসারী কোনো নেতাকর্মী জড়িত না।’

কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, ধোপাখালীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারির বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে আহত ওয়ার্ড বিএনপির নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকাত হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছে। বিষয়টি জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিমকে জানানো হয়েছে। ধোপাখালীতে বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতার্কীদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থল রয়েছি। কচুয়া, বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীকে তার গ্রামের বাড়ী থেকে আটক হয়েছে। বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ আরো দুইজনকে আটক করেছে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram