উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: "আমরাই গড়বো আগামীর মির্জাগঞ্জ "এ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে " মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন" এর নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ১৮ (ফেব্রুয়ারি)পায়রা নদীর তীরবর্তী উপজেলার দত্তের চর নামক স্থানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সকাল দশটায় অনুষ্ঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় অতিরিক্ত করেন সভাপতিত্ব করেন মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মিয়াদুল ইসলাম মাহিন(হাদি)।
কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওয়ালী উল্লাহ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন,সুবিদখালী সরকারি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মোঃ কামরুজ্জামান বাঁধন,উত্তম গোলদার, ডাঃ জহিরুল ইসলাম,মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফিরোজা আলম জুয়েল ও সহ- সম্পাদক মোঃ রাব্বি মল্লিকসহ অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সংগঠনটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। ২০১৯ সালের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৪০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে রক্ত দিয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে। কভিট-১৯ এর সময় বিনামূল্যে সেবা,বিভিন্ন সময়ে দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র, পঙ্গু রোগীদের হুইল চেয়ার বিতরণ, ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের সচেতন করা সহ নানা সামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে এ সংগঠনের মাধ্যমে।
মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশন এর সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান বাঁধন তার বক্তব্যে বলেন,এই ফাউন্ডেশনটি নিঃস্বার্থভাবে মানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ২০১৯ সালে। আমরা এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিকমূলক কাজ করে যাচ্ছে। সমাজে পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্রদের সচেতন করতে এবং আর্থসামাজিক ভাবে সচ্ছল করতে সংগঠন কাজ শুরু করেছে। সবার সার্বিক সহযোগিতায় সমাজের হতদরিদ্র মানুষকে প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করাই সংগঠনের কাজ। আরো বলেন, আজ আমি সভাপতি নেই কিন্তু উপদেষ্টা হয়ে আছি তার মানে এই নয় যে আমাদের কার্যক্রম থেমে যাবে। এই সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করতে সমাজের তরুণদের অগ্রধিকার দেয়া হয়েছে। তাই এই নতুন কমিটির মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুধু মির্জাগঞ্জই নয়,এটা জেলা থেকে বিভাগীয় শহর এমনকি কেন্দ্রীয় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস। তাই সকল সদস্যকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং এই সংগঠনটি সমাজের কাছে পরিচিতি লাভ করতে পারে।