এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. মো. হাসান তারেক প্রায় ২ বছর ধরে কর্মকর্তার পদে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুবাধে নিজ ইচ্ছামাফিক চালাচ্ছেন অফিস। এক পরিবার কল্যাণ সহকারী শামীম আরার সাথে দুর ব্যবহারসহ নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের তদন্ত টিম মাঠে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ইতোমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করছেন এ কর্মকর্তা।
প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কর্মকর্তা অফিস বন্ধের দিন ১৪ ফেব্রæয়ারি (শুক্রবার) বিকেলে পরিবার কল্যান পরিদর্শক (এফপিআই) দের নিয়ে নিজ দপ্তরে বসেছেন জরুরী বৈঠক। মাঠ কর্মীদেরকে সংঘটিত করা, শামীম আরার বিরুদ্ধে মাঠ কর্মীদের ফুঁসিয়ে তোলা, অভিযোগের বাদিকে ঘায়েল করতে মিশনে নেমেছেন এমন অভিযোগ তুলেছেন পরিবার কল্যাণ সহকারী শামীম আরার স্বামী অভিযোগের বাদি মো. মিজানুর রহমান।
মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ১/খ ইউনিটে ১৯৯০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি গত ৮ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি থাকায় অফিসিয়াল নিয়মে ছুটি নিয়ে চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে তার অসুস্থতা তীব্র হলে পুনরায় ছুটি বাড়ানোর জন্য পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শককে অবহিত করেন। তাৎক্ষনিক উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান তারেকের ম্যাসেঞ্জারে শামীম আরার অসুস্থতার ছবিসহ পরীক্ষা নিরীক্ষার কাগজপত্র পাঠিয়ে ছুটি চাওয়ায় এতে ডা. হাসান তারেক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবার কল্যান সহকারী শামীম আরাকে অফিসে জরুরীভাবে তলব করে। পরে তিনি কর্মকর্তার অফিস কক্ষে গেলে কর্মকর্তা নিজেই ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় তাকে গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করে।
এ ঘটনায় উক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান তারেকের বিচার দাবি করে ভূক্তভোগী শামীম আরার স্বামী মো. মিজানুর রহমান বাদি হয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দুদক চেয়ারম্যান বরাবর পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ সর্ম্পকে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান তারেকের ০১৫৬৮-৯৪৯২২৮ মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বাদি মো. মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ২ বছর ধরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার পদটি শূন্য থাকায় মেডিকেল অফিসার ডা. তারেক হাসান ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। যে কারনে সাধারণ রোগী দেখছেন না। মায়েরা হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালিন তিনি কিভাবে এ পদে দায়িত্বে থাকেন। তদন্ত কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়ছে। সুষ্ঠু তদন্ত ব্যহতের আশংকা প্রকাশ করছেন। ইতোমধ্যে মাঠকর্মীদেরকে নানা কৌশলে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।