অতুল পাল, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে এক বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) ফুঁসলিয়ে পরিত্যক্ত ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মো.হোসেন হাওলাদারকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) রাত ১টার দিকে দশমিনা উপজেলার আমতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, গতরাতে দশমিনা আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার তাকে পটুয়াখালী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৭ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠি গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ছেলে হোসেন হাওলাদার একই গ্রামের এক বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ফুঁসলিয়ে পরিত্যক্ত একটি ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই তরুণীর পরিবার ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত ধর্ষক হোসেন, তার বাবা সেলিম ও ভাই হাসান তরুণীর মা ও ফুফুকে মারধর করে।
এঘটনায় অভিযুক্ত হোসেন, বাবা সেলিম ও ভাই হাসানকে আসামি করে ধর্ষিতার বাবা বাউফল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ সেলিম ও তার ছেলে হাসানকে গ্রেপ্তার করে। তবে ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত হোসেন পালিয়ে যায়।
ওই কিশোরীর মা জানান, তার স্বামী দিনমজুর। ঘটনার দিন দুপুর ১২টার দিকে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে পাশের বাড়িতে যান। এসময় একই গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ছেলে হোসেন হাওলাদার (২৮) বাড়ির পাশে ক্ষেতে ডাল বুনছিলেন। সে বাড়িতে না থাকার সুযোগে হোসেন কৌশলে তার মেয়েকে ডেকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে বাড়িতে এসে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে চারদিকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে ওই পরিত্যক্ত ঘর মেয়ের চিৎকার শুনে গিয়ে তার মেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। তখন ওই ঘর থেকে হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধী তরুণীর বাউফলে হাসপাতারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ওই তরুণীর বাবা তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন। শুক্রবার রাতে দশমিনা উপজেলা থেকে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।