আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা কৃষকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে কালোজিরা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মসলা জাতীয় এই ফসল উৎপাদনে অত্যন্ত আগ্রহী কৃষকেরা। কালোজিরা তাদের কাছে এখন ‘কালো সোনা’ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
এ বছর উপজেলাটিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে কালোজিরার চাষ হয়েছে। আটঘরিয়ায় কালোজিরা চাষের জন্য বেশ উপযোগীও। তাই কৃষকরা দিন দিন কালোজিরা চাষে ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে চাষ করা হচ্ছে, অনেকটা দেখতে ধনিয়া গাছের মত দেখতে কালোজিরা। সাদা ফুলে ভরে গেছে মাঠ। মৌমাছিরা গুন গুন শব্দে মুখরিত করে তুলছে ক্ষেত, মধু আহরণে ব্যস্ত মৌ চাষিরা।
আটঘরিয়া পৌরসভার কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে, তাই বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বিঘাপ্রতি ৫-৬ মণ কালোজিরা উৎপাদন হয়ে থাকে। এক বিঘা জমিতে আবাদ করেছি, আশা করছি ভালো ফলন পাব।
আরেক কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ এবং মাঠকর্মীদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় এ বছর দুই বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করেছি।
জাতীয় কৃষক পদকপ্রাপ্ত কৃষক দুলাল মৃর্ধা বলেন, আমার জমিতে কালোজিরা আবাদ করতে মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। যদি কোনো সমস্যা না হয় আর বাজার মূল্য ঠিক থাকে, তাহলে লক্ষাধিক টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবো।
কৃষক হান্নান মোল্লা বলেন, স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন কালোজিরা চাষে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। আগামীতে কালোজিরার চাষ দ্বিগুণ পরিমান জমিতে ছড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটঘরিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, এ উপজেলার মাটি কালোজিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন কালোজিরার আবাদে। বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণে কৃষকদের মসলা জাতীয় ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ বলেন, চলতি বছর উপজেলায় মোট ২১ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়েছে। আর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হেক্টর। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।